Bangla story, Bangla golpo, love Story, thriller story, facebook story, facebook post

মামাতো বোন যখন বউ ।। পর্ব- ১ ।। লেখক - স্বপ্নীল কাজী

ভোরবেলায় ঘুমাচ্ছি। তখন আম্মুর ডাক.....
-এই ফারাবি ওঠ?
-আমি এখন বাজারে যেতে পারব না।প্লিজ ঘুমাইতে দাও??
-আরে বাজারে যেতে হবে না।তুই না তোর নানুর বাসায় যাবি???
-নানুর বাসা!!!!!
.
ঘুমটা জানি কই চলে গেছে??।আমি শুয়া থেকে ওঠে বসলাম।আম্মুকে বললাম....
-আম্মু তুমি খাবার রেডি কর আমি ফ্রেশ হয়ে আসতাছি..।
-আচ্ছা তারাতারি আয়.?

বলেই চলে গেল।আমিও চলে গেলাম ফ্রেশ হতে।ফ্রেশ হয়ে এসে রেডি হলাম। এরপরে চলে গেলাম খাবার খাইতে।খাওয়া শেষ আম্মুকে বললাম.....
-আম্মু এখন তাহলে আমি আসি...?
-আচ্ছা সাবধানে যাবি.
-ওকে..
.
বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম।দাড়িয়ে আছি রিকশা এর জন্য।মনে মনে ভাবতাছি...এই শহরে মানুষ থেকে রিকশা এর মূল্য মনে হয় বেশি।সামনে তাকাতেই দেখি একটা রিকশা আসতাছে...
-এই মামা বাস কাউন্টারে যাবা.?
-হ যামু্।ওঠে বসুন
-ওকে..
.
রিকশায় ওঠে বসলাম। রিকশা চলছে আপন গতিতে।আর মনে মনে ভাবতাছি কত বছর পর নানুর বাসায় যাচ্ছি?সব কিছু মনে হয় পাল্টে গেছে?এমনকি মানুষ গুলাও মনে হয় পাল্টে গেছে...আসলে আমি সাত বছর পর নানুর বাসায় যাচ্ছি।কারন আমার একটা মামাতো বোন ছিল। নাম ফারিয়া।দেখতে অনেক কিউট।আমি ছোটবেলা থেকেই ওকে ভালোবাসি।যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন ফারিয়ারে প্রপোজ করছিলাম।ফারিয়া কান্না করে আম্মু নানু মামাকে বিচার দিছিল।সবাই আমাকে অনেক বকছিল ।এরপর রাগ করে চলে আসছিলাম এর পরে আর নানুর বাসায় যাই নাই।আজকে যাচ্ছি কারন নানু অনেক অসুস্থ। এসব ভাবছিলাম হঠাৎ রিকশাওয়াল মামা ডাক দিল....
-মামা আইয়া পড়ছি নামেন..?
-ওহ আচ্ছা নামতেছি..।
.
রিকশা থেকে নেমে পড়লাম।বাড়াটা মিটিয়ে কাউন্টারে গেলাম...বাসের টিকেট নিলাম। পরে আর কি?বাসে ওঠে বসলাম সিটটা জানালার পাশে।জানালা দিয়ে বাতাস আসতাছে।আর বাহিরের দৃশ্য দেখতেছি.....হঠা
ৎ করে একটা মেয়ে আসল। এসে বলল......
-ভাইয়া আমকে জানালার পাশের সিটে বসতে দিবেন??
-না ইয়ে মানে..
-আমার কিন্তু বমি আসে বাসে উঠলে। এখন যদি আপনি না দেন তাহলে আমি আপনার ওপরে বমি করে দিব...?
-আচ্ছা ঠিক আছে বসুন...
.
সিট টা দিয়ে দিলাম।একটা থ্যাংকস দিল। আর মনে মনে ভাবতেছি.....সালার আজকে সূর্য কোন দিক দিয়া ওঠছে??যতবার কোন লং জার্নিতে যাই কত আশা করি পাশে একটা সুন্দরী মাইয়া বসব।কিন্তু কোনোদিনও বসে নাই..আজকে এরকম কোনো কিছু আশা করি নাই পরেও একটা সুন্দরী মাইয়া বসছে।আজকে এই মাইয়ারে পটামুই....একটু পরে মেয়েটা আমাকে জিজ্ঞেস করল....
-আপনার নাম কি..?
-ফারাবি, আপনার.??
-মাসুমা ইসলাম ফারিয়া...।কোন ক্লাসে পড়েন?
- যেই ক্লাসে পড়ি বললাম..আপনি...?(এটা আবার সেই ফারিয়া নাতো??নামটা তো পুরোটাই মিলে গেল..মনে মনে)
-আপনার সাথেই....
.
আমার মন তো লাড্ডুর মতো ফু্লে ওঠল।মেয়টি আবার বলল....
ফারাবি আপনার কাছে ভাংতি আছে.?
-আছে কিন্তু কেন?
-ওই দেখেন আচারওয়ালা আসছে আচার কিনব..
-আচ্ছা দাড়ান আমি কিনে দিতাছি..
.
চার প্যাকেট আচার কিনে দিলাম.। সালা এতক্ষণে বুজলাম কেন আমার সাথে কথা বলল।তিনটা প্যাকেট খেয়ে শেষ করে ফেলছে।আমি মনে মনে ভাবতাছি কি রাক্ষস মাইয়া আচার কিনে দিলাম অথচ আমাকে একটাও দিল না। শেষেরটা যখন খাবে।তখন আমাকে বলল...
-আপনি আচার খাবেন...?
-না,আপনি ওই খান...
-আরে একটা নেন না.?
-না লাগবে না..
-রাগ করছেন?
-রাগ করব কেন..?
-যদি রাগ না করেন তাহলে একটা নেন?.
.
একটা নিলাম। আর পুরো প্যাকেট ওনি একাই খাইছে।না এটা যে মাইয়া এরে পটানো যাবেনা।ওরে পটাইলে আমাকে ভিক্ষা করে খাইতে হবে...তার চেয়ে বরং আমি কানে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনি।গান শুনতেছি।একটু পর এফবিতে লগ ইন দিলাম. কয়েকটা ফ্রেন্ডের মেসেস এর রিপ্লে দিলাম.।দেখি মেয়েটা মোবাইল টিপতেছে....।আমি এফবি থেকে বের হয়ে আসলাম।মেয়েটা কতক্ষন মোবাইল টিপল।আমি আবার মনোযোগ দিলাম গানে।একটু পরে বাসে একটা চানাচুরওয়ালা ওঠল।মেয়েটা আমাকে বলতাছে....
-টাকা দেন??
-কিসের টাকা?
-আমি চানাচুর খাব তাই আপনি টাকা দিবেন?
-আমি দিব কেন?
-এমনি দিবেন।যদি না দেন তাহলে আমি কান্না করব..
.
কি আর করা টাকটা দিতেই হলো।অাহা সুন্দরীদের পাশে বসার সাধ মিটে গেছে।বাসটা আপন গতিতে চলতে লাগল। আমিও গান শুনতে লাগলাম.।
আবার কতক্ষন পরে..বাদামওয়ালা আসল....
-এই টাকা দেন..?
-এখন কেন টাকা দিব?
-টাকা দিবেন নাকি চিৎকার করব..
-আচ্ছা টাকা দিতাছি...
.
আল্লাহ এই মাইয়ার পাশে থাকলে সিউর আমি ফকির হইয়া যামু। আমাকে তারাতারি পৌছায়া দাও।বাস চলতে লাগল। একটু পরে বাস একটা রেস্টুরেন্ট এসে থামাল।আমার ক্ষুধা লাগরছে তাই খাইতে চলে গেলাম। দেখি মেয়েটাও আমার সাথে আসতাছে।আমি যা ওয়াডার করলাম মেয়েটা তাই ওয়াডার করল।মেয়েটা আমার আগে খাইয়া চলে গেল..।ম্যানেজারকে মেয়েটা বলল আমি ওর খাবারের বিল দিব।মেয়েটা চলে গেল।আমি খাবার শেষ করে আসতেই। ম্যানেজার আমার কাছে বিল চাইল। মেয়েটার বিল ও চাইছে..অনেক রাগ ওঠছিল বাট কিছু করার নাই। বিলটা দিয়ে বাসে ওঠে বসলাম।দেখি মেয়েটা মুচকি মুচকি হাসে।রাগে আমার শরীর জ্বলতাছে।আমার ৫৯৩ টাকা মেয়েটা খাইছে.।বাসটা আবার চলতে লাগল...কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতেছি। হঠাৎ করে দেখি মেয়েটা আমার ঘাড়ে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে।ওর ঘুমন্ত চেহেরা দেখে অনেক মায়া হলো। মেয়েটাকে আর জাগলাম না.।কিন্তু মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি আসল।কয়েকটা সেলফি তুলে নিলাম।এমন ভাবে তুললাম যে কেউ দেখলে বলবে আমরা কাপল।টাকাগুলা গেলেও মনটা শান্তি তে ভরে গেল।বাসটা নিদিষ্ট গন্তব্য চলে আসল । মেয়েটাও নেমে গেল। আমিও নেমে গেলাম।একটু পরে একটা সি এন জিতে ওঠলাম।মোবাইলটা বের করে আম্মু কে কল দিলাম। বাসার ঠিকানা ভালোভাবে জেনে নিলাম।একটু পরে এফবিতে লগ ইন দিলাম...একটা মেয়ের আইডি থেকে মেসেজ আসল.....
-আপনি এত বোকা আগে জানতাম না...?
-কিভাবে বুজলেন...?
-বাসের পাশের সিটের মেয়েটাই আমি ছিলাম..
-ওকে ওয়েট?
-কেন?
-দেকতেই পারবেন..
.
যেই পিক গুলা তুলছি কিছু পিক দিলাম। আর পিক গুলা দেখে মেয়েটা কোনো রিয়েক্ট করল না।অনেক অবাক হলাম!!!!!!!মেয়েটাকে বাই বলে এফবি থেকে বের হয়ে আসলাম।সিনএনজি থেকে নামলাম।কিছু ফল আর মিষ্টি নিলাম।পরে রিকশা করে নানুর বাসার সামনে গেলাম।দরজায় কলিং বেল দিতেই।যে দরজাটা খুলে দিল....................

No comments:

Post a Comment