
ও নিজের শরিরের দিকে তাকালো?জামা চেন্জ দেখে.
আর ঠাস ঠাস করে চর মারল...........
-এতদিন তোরে শুধু বেয়াদব ভাবতাম।তুই তো আস্ত একটা লম্পট বদমাইশ...
-আমার কথাটা শোন?
-তোর আবার কিসের কথা। তুই আমার সরলতার সুযোগ নিলি।আমি তোর কাছ থেকে মুক্তি চাই। প্লিজ ডিভোর্স দে....(কেঁদে কেঁদে বলল)
-আমি রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম।
.
বের হওয়ার সময় দেখলাম ওয়েটারটা দরজার কাছে দাড়িয়ে সব দেখছে।আমি চলে যাওয়ার পর ওয়েটারটা রাখিকে বলল.....
-ম্যাম যদি কিছু মনে না করেন একটা কথা বলব?
-তোমার আবার কিসের কথা(রেগে)
-আসলে ম্যাডাম স্যার আপনার ড্রেস চেন্জ করে নাই।আমি আপনার ড্রেস চেন্জ করছি....
-কি বলো এসব?(নরম হয়ে)
-হুম স্যার আপনার মাথায়া অনেক রাত পর্যন্ত জলপট্টি দিছে। মাথায় পানি দিছে যার কারনে আপনার ড্রেস ভিজে যায়।পরে আমাকে বলছে ড্রেস চেন্জ করে দিতে। আর আমি করে দিছি....
-রাখি বসে পড়ল।বলল আমি এটা কি করলাম।আলভী আসলে পরে ওরে আমি সরি বলল..
-আচ্ছা ম্যাম আমি এখন যাই...
-ওকে
.
এদিকে আমি একটা বাগানে বসে আছি। আর ভাবছি রাখি বলা কথাগুলো। আমার চোখ দিয়ে বিন্দু বিন্দু জল বের হতে থাকল।মনে মনে একটা সিদান্ত নি্লাম।আর জালাবো না ওরে মুক্তি দিয়ে দিব।কয়েক ঘন্টা পরে হোটেলের রুমে গেলাম।যেতেই বলল.....
-সরি...
-বদমাইশ লম্বটদের সরি বলতে হয় না...
.
বলেই একটা বালিশ নিয়া ঘুমিয়ে পড়লাম।আর আমার এমন কথায় রাখি অবাক এর উপর ডাবল অবাক হইছে।বিকেলবেলায়
-কোথায় যাবা আমাকে নিয়ে যাও..
-লম্বট বদমাইশ এর সাথে গেলে ইজ্জত হারাতে পারেন। সো একাই ঘুরেন(আপনি করে)
.
বলেই বেরিয়ে আসলাম।রাখি শুধু অবাক হয়ে দেখছে।রাখি আর বের হলো না।এদিকে আমি অনেক রাত করে রুমে আসছি। রুমে ডুকতেই রাখি বলল........
-এতক্ষণ কই ছিলা?
-আপনাকে বলতে হবে?
-তো কাকে বলবা?
-আপনাকে বলতে বাধ্য নয়।সরেন ঘুমাব.
-আপনি করে বলছ কেন?
-বড়দের আপনি করেই বলতে হয়।এতদিন ভূল করছি এখন শুধরাবো.....
-ওহহহহ তাই?
-হুম
.
বলেই ঘুমিয়ে পড়ছি। সকালে রাখির ডাকে ঘুৃ্ম ভাঙ্গল...
-এই ওঠ?
-হুম?
-ওঠ না?
-ওঠে বসে পড়লাম।আর বললাম কি ব্যাপার ঘুমাতে ও দিবেন না?ডাকলেন কেন?
-চা বানিয়ে আনছি চা খাও
-আপনার চা আপনি ওই খান..
..
.
বলেই ওয়াশরুমে ডুকে ফ্রেশ,হয়ে নিলাম।আর ভাবতে লাগলাম রাখির হঠাৎ কি হলো...মনে হয় আমাকে ভালোবেসে ফেলছে।তাই কেয়ার নিতেছে।আর ওদিকে রাখি কান্না করে দিছে।আসলে ওর সাথে কখনো রেগে কথা বলিনি।আজকে ফাস্ট বললাম।
.
রাখি আমাকে অনেক অবহেলা করছে। এখন আমিও কয়েকদিন অবহেলা করে পরে মেনে নিব।বুজক প্রিয়,মানুষদের অবহেলা কতটুৃকু কষ্টের। তারপর আর কি হানিমুন না মানে আমারটা ফানিমুন এটা শেষ করে বাসায় চলে আসলাম।
.
পরেরদিন কলেজে গেলাম কলেজে গিয়ে মেয়েদের সাথে অনেক হাসাহাসি করে কথা বললাম।রাখি দেখে ফেলল।শুধু রাগে কটমট করতেছিল।আমি আরো বেশি হাসাহাসি শুরু করলাম।তারপরে কলেজ শেষ করে বাসায় আসলাম।এসে ফ্রেশ হলাম।কিছু না খেয়ে বন্ধুদের আড্ডায় গেলাম।আড্ডা দিতে দিতে অনেক রাত হয়ে গেলো।টাইম দেখার জন্য মোবাইল হাতে নিলাম।আর আমার চোখ কপালে।বাসা থেকে এতগুলো কল আসছে।রাখিও অনেক গুলো দিছে।তখনি আব্বু আবার কল দিল....
-কিরে সাহেবজাদা কই তুই?
-না ইয়ে মানে....
-যেখানেই থাকস ৫ মিনিটে বাসায় আয়
-ওকে...
.
বাসায়,চলে আসলাম কলিং বেল দিতেই দরজাটা খুলে গেল।আর দরজাটা রাখি ওই খুলল..আব্বু আমাকে এসে বলল....
-জানোস তোর জন্য মেয়েটা এখন পর্যন্ত কিছু খায় নাই....
-আমি কি খেতে মানা করছি...
-কি বললি?যা এখনি মেয়েটাকে খাওয়াইয়া দিবি...
-আব্বু ও খাওয়া শুরু করুক আমি বসে দেখি?
.
তখন রাখি বলল.....
-আব্বু ও যদি খাওয়া না দেয় আমি খাবো না?
.
দূর পইরা গেলাম মাইনকা চিপায়।কি আর করা খাওয়া দিতে হইছে।পরে খাওয়ানো শেষ করলাম।আমি রুমে আসতেই বলল.......
-কলেজে মেয়েদের সাথে এত কিসের কথা?
-আপনাকে বলতে হবে?
-হুম আমাকেই বলতে হবে?
-আপনি আমার কে?
-আমি তোমার বউ...
-কি।শুনেন কয়েকদিনের ভেতরে আমাদের ডিভোর্স হয়ে যাবে।
.
এ কথা শুনার পর রাখি কান্না করে দিল...আর বলতে লাগল....
-কি দোষ করছি।তুমি আমার সাথে এরকম করছ কেন.?আমার অনেক কষ্ট হয়।প্লিজ তুমি আগের মতো হয়ে যাও?
-চাইলেও সম্ভব না..ঘুমিয়ে পড়েন
.
ও কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে গেল।ওর কান্না দেখলে আমার ও কষ্ট হয়...
.
.
এভাবে চলে গেল তিনটা মাস। এই তিন মাসে অনেক জ্বালাইছি।অনেক কান্না করছে।যার ফলে চেহারাটা কেমন রোগাটে হয়ে গেছে।ওরে কষ্ট দিয়ে আমিও কষ্ট পাই নাই তা কিন্তু নয়।আমিও অনেক কষ্ট পাইছি...ভাবলাম এখন ওরে মেনে নিব...
.
পরেরদিন বিকালে একটা পেপার আনলাম।ডিভোর্স পেপার এর মত।আর রাখিকে বললাল...
-সই কর?
-এটা কিসের পেপার?
-ডিভোর্স পেপার।আমি সই করে দিছি তুমিও কর.....
-ও কান্না করে দিছে।আর কাপা কাপা হাতে সই করছে।কলমটা দুইবার পরে গেছে..
-এটা দেখে আমার অনেক হাসি পাচ্ছে। অনেক কষ্টে আটকায়া রাখলাম
.
তারপরে কোনোমতে সইটা করল।আর আমি বাহিরে চলে আসলাম।২ ঘন্টা পরে হাসপাতাল থেকে ফোন আসল।রাখি হাসপাতালে ভর্তি আমি যেন তারাতারি যাই।আমি একথা শোনার পরে মোবাইলটা হাত থেকে পড়ে গেল। কোনোমতে হাসপাতালে গেলাম।দেখি সবাই হাসপাতালেই আছে।ভাবতে লাগলাম রাখির যদি কিছু হয়ে যায় কিভাবে নিজেকে ক্ষমা করব।একটু পরে ডাক্তার বেরিয়ে আসল.......
-কি হয়েছে ডাক্তার?
-ওনি হাত কেটে ফেলছে যার ফলে প্রচুর ব্লাড বের হইসে। এখনি ওনার রক্ত লাগবে..আর আমাদের হাসপাতালে এই রক্ত নাই
-রক্তের গ্রুপ কি?
-ওনেগেটিভ
.
আমার একটা বন্ধুর রক্তের গ্রুপ ওনেগেটিভ। ওরে কল দিলাম। ও এসে রক্ত দিল।হঠাৎ আব্বু এসে রাগি গলায় বলল......
-কিরে বউমার এ অবস্থা কেমনে হইছে...
-আমি ওর সাথে জগড়া করছিলাম
-ঠাস ঠাস ঠাস ঠাস কয়টা চর মারল।আর বলল..বউমার যদি কিছু হয় তোর খবর আছে
.
আব্বু চলে গেল।কতক্ষন পর ডাক্তার বের হল।আর বলল....রোগী এখন বিপদমুক্ত।জ্ঞান
-কেন মরতে চাইছিলি?(তুই করে)
-তুমি আমাকে ডিভোর্স দিস কেন। তোমাকে ছাড়া আমি বাচতে পারব না তাই...
-আমি কি তোমাকে ছাড়া বাচতে পারব?
.
বলেই ওরে বুকের সাথে জড়িয়ে নিলাম...।কতক্ষন
-জানু মিষ্টি খাইতে ইচ্ছা করছে..?
-ওকে দাড়াও কিনে নিয়ে আসি...
-আরে ওই মিষ্টি না...
-কোন মিষ্টি?
-তেমার ঠোঠের বলেই.....আমার ঠোঠ ওর ঠোঠ এক হয়ে গেল...
No comments:
Post a Comment