সকালবেলা...ঠাস ঠাস অতঃপর যা হলো...........
-মারলা কেন?
-তোরে কি করা উচিত?(তুই করে বলল)
-কি করছি আমি?
-রাতে জড়িয়ে ধরেছিস কেন?
-আমি জড়িয়ে ধরছি না বরং তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরছ?
-তাই নাকি?
-হুম।
.
বলেই চলে আসলাম। দূর সকাল সকাল মেজাজটা খারাপ করে দিল।নিজেই জড়িয়ে ধরছে আবার নিজেই মারছে। দূর ভালো লাগে না।চলে গেলাম ওয়াশরুমে। ফ্রেশ হয়ে রুমে আসলাম। একটু পরে রাখি আসল।আর বলল.....
-চল খেতে যাবা?
-এখন ভালো লাগছে না পরে খাব?
-এখনি আস?
-না পরে
-এখনি আসতে বলছি এখনি আস?
-আসছি...
.
দূর কি আর করা? অগত্যা তার সাথে যেতেই হলো।গিয়া টেবিলে বসলাম। সবার সাথে টুকটাক কথা বললাম।পরে খাবার খেতে বসছি অনেক খাবার দিল।খেয়ে শেষ করতে পারিনা আরেকটা দিয়া দেয়...রাখি আমার পাশেই ছিল।রাখিও আমার সাথে খেয়ে নিল।খাওয়া শেষ করে আমি ও রাখি রুমে চলে আসলাম...
.
কতক্ষন পর রাখির মা রাখির কাছে আসল। আর বলল....
-রাখি জামাইকে নিয়া কোথাও ঘুরে আয়?
-ওকে..
.
রাখির মা চলে গেল।রাখি আমার কাছে আসল..আর বলল....
-রেডি হয়ে নাও?
-কেন?
-ঘুরতে যাব...
-আচ্ছা ঠিক আছে...
.
রেডি হয়ে বসে আছি । কিন্তু রাখির কোনো নাম গন্ধ ও নাই।হঠাৎ লক্ষ্য করলাম মহারানি অনেক সাজুগুজু করে নিচের দিকে আসছে....এসে আমাকে বলল....
-চল..?
-হুম..
.
ওর সাথে যেতে থাকলাম।রাখি প্রথমে একটা পার্কে নিয়ে গেল।কিছুক্ষণ পর তার একটা ছেলে বন্ধু আসল।সেই বন্ধুর সাথে খুব হাসাহাসি করে কথা বলতেছে।আর এদিকে আমার অনেক রাগ ওঠতেছে। অনেক্ষন তারা হাসহাসি করে কথা বলল।আর আমি তাদেরকে কিছুই বললাম না।কতক্ষন পর ছেলেটা চলে গেল।আমি ও রাখি বাসায় চলে আসলাম।দেখতে দেখতে দিনটা চলে গেল।রাতের খাবার শেষ করে রুমে আসলাম ঘুমাতে।একটু পরে রাখিও আসল।তখন আমি বললাম..........
...
-ছেলেদের সাথে এভাবে হাসাহাসি করে কথা না বললে হয় না?
-এটা তুমি বলার কে?আমার যা ইচ্ছা তাই করব...
-আমি তোমার হাসবেন্ড..?
-হাহাহা....হাসা লে তুমি আমাকে ওয়াইফ হিসাবে মানলেও আমি তোমাকে হাসবেন্ড হিসাবে মানি না...
-ওহহহ
-হুম।সর ঘুমাব..
.
বলেই একটা কোলবালিশ মধ্যখানে দিয়া ঘুমিয়ে পড়ল।আর এদিকে আমি ভাবতে লাগলাম...বিয়ার আগে রাখি কত ভালো ছিল কত ভালো ব্যবহার করত।আর এখন আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে... আমাকে মনে হয় দেখতেই পারে না। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুৃমিয়ে গেছি মনে নাই..।
.
পরদিন সকালে ঘু্ম ভাঙ্গল সকালের মিষ্টি রোদে।ঘুম থেকে ওঠে দেখি রাখি সাজুগুজু করতেছে।তখন বললাম.....
-তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে... কোথাও যাবা?
-আজকে তোমাদের বাড়িতে যাব..
-ওহহ।
-হুম যাও ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে রেডি হয়ে নাও.?
-আচ্ছা ঠিক আছে।
.
পরে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে ওখান থেকে বাসায় চলে আসলাম।এসে আমার বেস্টফ্রেন্ডক রাফি কে কল দিলাম....
-কিরে দোস্ত কই তুই?
-কলেজের সামনে। তুই?
-বাসায়। ওকে তুই ওখানে দ্বারা আমি আসছি?
-ওকে.
.
১০ মিনিট পরে ওর কাছে আসলাম।আর রাফি বলল.....
-কিরে বউ পাইয়া আমাকে ভুইলা গেলি?
-আরে ওইটা বউ না অন্যকিছু?
-কেন কি হয়ছে?
-সব খুলে বললাম যা হইছে
.
রাফি কিছুক্ষণ ভাবল।পরে আমাকে বলল.....
-একটা উপায় আছে?
-কি উপায়?
-তুই রাখির অনেক কেয়ার নিবি আর ডিস্টার্ব করবি?
-কাজ হবে তো?
-১০০% হবে...
-ওকে তাহলে আজকে থেকেই মিশন শুরু....
-হুম বেস্ট অফ লাক.
.
পরে ওর কাজ থেকে বিদায় নিয়া বাসায় আসলাম।এসে ফ্রেশ হলাম।আসার সময় অনেকগুলা চকলেট আর কতগুলা গোলাপ আনলাম।এইগুলা রাখি কে দিলাম।শুধু চকলেটগুলা নিল। কিন্তু গোলাপ নিল না।একটু কষ্ট পেলাম।ব্যাপার না...লেগে থাকি।
.
বিকেলবেলায় রাখিকে কফি বানিয়ে দিলাম।কিন্তু খেল না।আর বলল...
-হঠাৎ এত আগলা পিরিত?
-আগলা পিরিত না ভালোবাসা...
-ভূলে যেও না যে আমি তোমার বড়...
-বড়রা কি ছোটদের ভালোবাসতে পারে না?
-হুম সবাই পারলেও আমি পারব না...
.
বলেই চলে গেল।দূর কিছু ভালো লাগে না। এত ভালোবাসি তবুও একটু ও কি মায়া জন্মায় না?
.
রাতের বেলায় ফ্লোরে শুয়ে আছি। আর রাখি বিছানায় ঘুমাচ্ছে।আমি ওর মায়াবী চেহারাটা দেখতেছি।দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে গেলাম।পরেরদিন খুব সকালে ওঠলাম।রাখির জন্য চা বানিয়ে আনলাম।রাখি কে ডাকতেছি।তখন ওহ আমার হাত ধরে একটা টান দিল.. আমি ওর বুকের উপর গিয়া পরলাম।এমন ভাবে পড়লাম। ওর ঠৌঠের সাথে আমার ঠৌঠ লেগে গেল...তখনি রাখি জেগে গেল।আর ঠাস ঠাস করে দুইটা চর দিয়া বলল......
-বেয়াদব বল কি করেছিস আমার সাথে?
-কিছু করিনি?
-সত্যিতো?
-হুম(সব কথা মাথা নিচু করে বলছি)
.
কলেজ খোলা হয়ে গেল।ও আমার সাথে কলেজে যেতে চাইত না। তবুও আমি ওর পিছু পিছু কলেজে যেতাম।অনেক বারন লরত।তবুও বেহায়া এর মত যেতাম। কলেজে থাকা অবস্থায় ও খাইলে পরে আমি খাইতাম।যখন বলতাম খাইছে কি না?অনেক খারাপ ব্যবহার করত.....
.
এভাবে চলে গেল ৩ টা মাস।আমি ঠিক আগের মতই আছি.।ওর পিছু পিছু পরে থাকি।ওর কেয়ার নেয়।কিন্তুু দিনশেষে ফলাফল শূন্য।একদিন রাতে সবাই খাবার খাইতেছি।তখন আব্বু বলল.....
-তোরা কোথাও হানিমুন করে আয়?
-না বাবা এখন না। সমস্যা আছে?
-কার সমস্যা?
-আমরা দুইজনের এই
.
বলার আগেই রাখি বলে ওঠল....
-না বাবা আমার কোনো সমস্যা নাই...
-ওহহ। আলভী তোর কি সমস্যা?
-না ইয়ে মানে বাবা আমি এখনো ছোট...
-তুই যাবি ব্যস যাবি...
.
বলেই দুইটা টিকেট ধরায়া দিল।আর রাখিকে বলল....
-আসার সময় কিন্তু নাতি নিয়া আসতে হবে?
-লজ্জা পেয়ে চলে গেল...
.
আমিও চলে আসলাম।দেখলাম রাখি কাপড় গোছাচ্ছে।তখন বললাম......
-ওই তুমি রাজি হইলা কেন?
-যদি না হইতাম তাহলে তোমার আব্বু কষ্ট পেত....
-ওহহহহ
-হুম।কাপড় গুছিয়ে নেও...
-ওকে
.
কাপড় গুছিয়ে ঘুৃমিয়ে পড়লাম।সকাল বেলা ওঠলাম।বাসা থেকে বিদায় নিয়া ট্রেনে ওঠলাম। ট্রেন আপন গতিতে চলতে লাগল।ওর সিটটা জানালার পাশে ছিল বলে চুল গুলো ওরছিল। কিছুক্ষণ পর রাখি ঘুমিয়ে গেল।আর ওর মাথাটা আমার কাধে এসে পড়ল। আমি আর জাগালাম না বসে বসে ঘুমন্ত মায়াবী চেহারা দেখতে লাগলাম।কয়েক ঘন্টা পরে নিজস্ব গন্তব্য চলে আসলাম।ওকে নিয়া হোটেলের রুমে গেলাম।বাহিরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে।রাখি বায়না ধরল বৃষ্টিতে ভিজবে....আমি অনেক না করছি শুনে নায়।মাঝরাতে কারো গোঙ্গানীর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল....দেখি রাখি জ্বরে কাপতেছে। কোনো উপায় না পেয়ে ওর মাথায় জলপট্টি দিতে লাগলাম। যার ফলে ওর জামাটা ভিজে যায় এটা চেন্জ করা দরকার।তাই একটা মহিলা ওয়েটারকে ডাক দিলাম।ও রাখির জামা চেনজ করছে।আমি বাহিরে দাড়িয়ে আছি।একটু পরে ওয়েটার চলে গেল।আর আমি রুমে ডুকে ওর মাথার পাশে বসে আছি....সকালবেলা যখন ওর জ্ঞান ফিরল....আমাকে বলল....
-তুৃমি এখানে কেন?
-আসলে রাতে তোমার অনেক জ্বর ওঠছিলো। তাই মাথায় জলপটি দিছিলাম।
-ও নিজের শরিরের দিকে তাকালো?জামা চেন্জ দেখে.
আর ঠাস ঠাস করে চর মারল........... ............... ....আর পরে যা হলো......
-মারলা কেন?
-তোরে কি করা উচিত?(তুই করে বলল)
-কি করছি আমি?
-রাতে জড়িয়ে ধরেছিস কেন?
-আমি জড়িয়ে ধরছি না বরং তুমি আমাকে জড়িয়ে ধরছ?
-তাই নাকি?
-হুম।
.
বলেই চলে আসলাম। দূর সকাল সকাল মেজাজটা খারাপ করে দিল।নিজেই জড়িয়ে ধরছে আবার নিজেই মারছে। দূর ভালো লাগে না।চলে গেলাম ওয়াশরুমে। ফ্রেশ হয়ে রুমে আসলাম। একটু পরে রাখি আসল।আর বলল.....
-চল খেতে যাবা?
-এখন ভালো লাগছে না পরে খাব?
-এখনি আস?
-না পরে
-এখনি আসতে বলছি এখনি আস?
-আসছি...
.
দূর কি আর করা? অগত্যা তার সাথে যেতেই হলো।গিয়া টেবিলে বসলাম। সবার সাথে টুকটাক কথা বললাম।পরে খাবার খেতে বসছি অনেক খাবার দিল।খেয়ে শেষ করতে পারিনা আরেকটা দিয়া দেয়...রাখি আমার পাশেই ছিল।রাখিও আমার সাথে খেয়ে নিল।খাওয়া শেষ করে আমি ও রাখি রুমে চলে আসলাম...
.
কতক্ষন পর রাখির মা রাখির কাছে আসল। আর বলল....
-রাখি জামাইকে নিয়া কোথাও ঘুরে আয়?
-ওকে..
.
রাখির মা চলে গেল।রাখি আমার কাছে আসল..আর বলল....
-রেডি হয়ে নাও?
-কেন?
-ঘুরতে যাব...
-আচ্ছা ঠিক আছে...
.
রেডি হয়ে বসে আছি । কিন্তু রাখির কোনো নাম গন্ধ ও নাই।হঠাৎ লক্ষ্য করলাম মহারানি অনেক সাজুগুজু করে নিচের দিকে আসছে....এসে আমাকে বলল....
-চল..?
-হুম..
.
ওর সাথে যেতে থাকলাম।রাখি প্রথমে একটা পার্কে নিয়ে গেল।কিছুক্ষণ পর তার একটা ছেলে বন্ধু আসল।সেই বন্ধুর সাথে খুব হাসাহাসি করে কথা বলতেছে।আর এদিকে আমার অনেক রাগ ওঠতেছে। অনেক্ষন তারা হাসহাসি করে কথা বলল।আর আমি তাদেরকে কিছুই বললাম না।কতক্ষন পর ছেলেটা চলে গেল।আমি ও রাখি বাসায় চলে আসলাম।দেখতে দেখতে দিনটা চলে গেল।রাতের খাবার শেষ করে রুমে আসলাম ঘুমাতে।একটু পরে রাখিও আসল।তখন আমি বললাম..........
-ছেলেদের সাথে এভাবে হাসাহাসি করে কথা না বললে হয় না?
-এটা তুমি বলার কে?আমার যা ইচ্ছা তাই করব...
-আমি তোমার হাসবেন্ড..?
-হাহাহা....হাসা
-ওহহহ
-হুম।সর ঘুমাব..
.
বলেই একটা কোলবালিশ মধ্যখানে দিয়া ঘুমিয়ে পড়ল।আর এদিকে আমি ভাবতে লাগলাম...বিয়ার আগে রাখি কত ভালো ছিল কত ভালো ব্যবহার করত।আর এখন আমার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করে... আমাকে মনে হয় দেখতেই পারে না। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুৃমিয়ে গেছি মনে নাই..।
.
পরদিন সকালে ঘু্ম ভাঙ্গল সকালের মিষ্টি রোদে।ঘুম থেকে ওঠে দেখি রাখি সাজুগুজু করতেছে।তখন বললাম.....
-তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে... কোথাও যাবা?
-আজকে তোমাদের বাড়িতে যাব..
-ওহহ।
-হুম যাও ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে রেডি হয়ে নাও.?
-আচ্ছা ঠিক আছে।
.
পরে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে ওখান থেকে বাসায় চলে আসলাম।এসে আমার বেস্টফ্রেন্ডক রাফি কে কল দিলাম....
-কিরে দোস্ত কই তুই?
-কলেজের সামনে। তুই?
-বাসায়। ওকে তুই ওখানে দ্বারা আমি আসছি?
-ওকে.
.
১০ মিনিট পরে ওর কাছে আসলাম।আর রাফি বলল.....
-কিরে বউ পাইয়া আমাকে ভুইলা গেলি?
-আরে ওইটা বউ না অন্যকিছু?
-কেন কি হয়ছে?
-সব খুলে বললাম যা হইছে
.
রাফি কিছুক্ষণ ভাবল।পরে আমাকে বলল.....
-একটা উপায় আছে?
-কি উপায়?
-তুই রাখির অনেক কেয়ার নিবি আর ডিস্টার্ব করবি?
-কাজ হবে তো?
-১০০% হবে...
-ওকে তাহলে আজকে থেকেই মিশন শুরু....
-হুম বেস্ট অফ লাক.
.
পরে ওর কাজ থেকে বিদায় নিয়া বাসায় আসলাম।এসে ফ্রেশ হলাম।আসার সময় অনেকগুলা চকলেট আর কতগুলা গোলাপ আনলাম।এইগুলা রাখি কে দিলাম।শুধু চকলেটগুলা নিল। কিন্তু গোলাপ নিল না।একটু কষ্ট পেলাম।ব্যাপার না...লেগে থাকি।
.
বিকেলবেলায় রাখিকে কফি বানিয়ে দিলাম।কিন্তু খেল না।আর বলল...
-হঠাৎ এত আগলা পিরিত?
-আগলা পিরিত না ভালোবাসা...
-ভূলে যেও না যে আমি তোমার বড়...
-বড়রা কি ছোটদের ভালোবাসতে পারে না?
-হুম সবাই পারলেও আমি পারব না...
.
বলেই চলে গেল।দূর কিছু ভালো লাগে না। এত ভালোবাসি তবুও একটু ও কি মায়া জন্মায় না?
.
রাতের বেলায় ফ্লোরে শুয়ে আছি। আর রাখি বিছানায় ঘুমাচ্ছে।আমি ওর মায়াবী চেহারাটা দেখতেছি।দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে গেলাম।পরেরদিন খুব সকালে ওঠলাম।রাখির জন্য চা বানিয়ে আনলাম।রাখি কে ডাকতেছি।তখন ওহ আমার হাত ধরে একটা টান দিল.. আমি ওর বুকের উপর গিয়া পরলাম।এমন ভাবে পড়লাম। ওর ঠৌঠের সাথে আমার ঠৌঠ লেগে গেল...তখনি রাখি জেগে গেল।আর ঠাস ঠাস করে দুইটা চর দিয়া বলল......
-বেয়াদব বল কি করেছিস আমার সাথে?
-কিছু করিনি?
-সত্যিতো?
-হুম(সব কথা মাথা নিচু করে বলছি)
.
কলেজ খোলা হয়ে গেল।ও আমার সাথে কলেজে যেতে চাইত না। তবুও আমি ওর পিছু পিছু কলেজে যেতাম।অনেক বারন লরত।তবুও বেহায়া এর মত যেতাম। কলেজে থাকা অবস্থায় ও খাইলে পরে আমি খাইতাম।যখন বলতাম খাইছে কি না?অনেক খারাপ ব্যবহার করত.....
.
এভাবে চলে গেল ৩ টা মাস।আমি ঠিক আগের মতই আছি.।ওর পিছু পিছু পরে থাকি।ওর কেয়ার নেয়।কিন্তুু দিনশেষে ফলাফল শূন্য।একদিন রাতে সবাই খাবার খাইতেছি।তখন আব্বু বলল.....
-তোরা কোথাও হানিমুন করে আয়?
-না বাবা এখন না। সমস্যা আছে?
-কার সমস্যা?
-আমরা দুইজনের এই
.
বলার আগেই রাখি বলে ওঠল....
-না বাবা আমার কোনো সমস্যা নাই...
-ওহহ। আলভী তোর কি সমস্যা?
-না ইয়ে মানে বাবা আমি এখনো ছোট...
-তুই যাবি ব্যস যাবি...
.
বলেই দুইটা টিকেট ধরায়া দিল।আর রাখিকে বলল....
-আসার সময় কিন্তু নাতি নিয়া আসতে হবে?
-লজ্জা পেয়ে চলে গেল...
.
আমিও চলে আসলাম।দেখলাম রাখি কাপড় গোছাচ্ছে।তখন বললাম......
-ওই তুমি রাজি হইলা কেন?
-যদি না হইতাম তাহলে তোমার আব্বু কষ্ট পেত....
-ওহহহহ
-হুম।কাপড় গুছিয়ে নেও...
-ওকে
.
কাপড় গুছিয়ে ঘুৃমিয়ে পড়লাম।সকাল বেলা ওঠলাম।বাসা থেকে বিদায় নিয়া ট্রেনে ওঠলাম। ট্রেন আপন গতিতে চলতে লাগল।ওর সিটটা জানালার পাশে ছিল বলে চুল গুলো ওরছিল। কিছুক্ষণ পর রাখি ঘুমিয়ে গেল।আর ওর মাথাটা আমার কাধে এসে পড়ল। আমি আর জাগালাম না বসে বসে ঘুমন্ত মায়াবী চেহারা দেখতে লাগলাম।কয়েক ঘন্টা পরে নিজস্ব গন্তব্য চলে আসলাম।ওকে নিয়া হোটেলের রুমে গেলাম।বাহিরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে।রাখি বায়না ধরল বৃষ্টিতে ভিজবে....আমি অনেক না করছি শুনে নায়।মাঝরাতে কারো গোঙ্গানীর শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল....দেখি রাখি জ্বরে কাপতেছে। কোনো উপায় না পেয়ে ওর মাথায় জলপট্টি দিতে লাগলাম। যার ফলে ওর জামাটা ভিজে যায় এটা চেন্জ করা দরকার।তাই একটা মহিলা ওয়েটারকে ডাক দিলাম।ও রাখির জামা চেনজ করছে।আমি বাহিরে দাড়িয়ে আছি।একটু পরে ওয়েটার চলে গেল।আর আমি রুমে ডুকে ওর মাথার পাশে বসে আছি....সকালবেলা
-তুৃমি এখানে কেন?
-আসলে রাতে তোমার অনেক জ্বর ওঠছিলো। তাই মাথায় জলপটি দিছিলাম।
-ও নিজের শরিরের দিকে তাকালো?জামা চেন্জ দেখে.
আর ঠাস ঠাস করে চর মারল...........
No comments:
Post a Comment