Bangla story, Bangla golpo, love Story, thriller story, facebook story, facebook post

টিউশন প্রেম 💓 ।। স্বপ্নীল সাহেব কাজী ।। সম্পুর্ন গল্প ।।


-চলোনা আমরা বিয়ে করে ফেলি???
-কি আবল তাবল বলো????
-যা সত্যি তাই বলছি।চলো পালিয়ে যাই???
-আরে আমি বেকার আর পালিয়ে গেলে তোমাকে খাওয়াবো কি???
-তুমি যা খাবে তার অর্ধেক আমাকে দিবে বাকিটা তুৃমি খাবে??
-সরি আমি পারব না????
-কেন পারবে না???এই মাসে আমাকে আংটি পড়াতে আসবে কয়েকদিন পর বিয়ে.....
-তো বিয়ে করে ফেল????তুমি সুখি থাকলে আমিও সুখি। আমার এই অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এর সাথে তোমাকে জড়াতে পারব না......
-আমি কিছু জানিনা। আমাকে বিয়ে করবা এটাই জানি.......
-সরি আমি পারব না.......
-যদি না পার তাহলে আমাকে আর পড়াতে আইসো না......
-কেন????চুপসে গেলাম...
-আমি তোমার কাছে আর পড়ব না।তুমি ও আর আইসো না
-আচ্ছা....
Photo by Jennifer Burk on Unsplash

তারপর আর কতক্ষন পড়ালাম।পড়ানো শেষ করে বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম। শেষবারের মতো বাসাটাকে দেখে নিলাম।আর হয়তো আসা হবে না।ছেড়ে দিতে হবে এই ব্যাস্ত শহরটাকে। আমাদের মত গরিবদের এই শহরে থাকাটা মানায় না।আর এই মধ্য মাসে টিউশনি পাওয়াটা সম্ভব না।
.
-এতক্ষণ আমার আর মিমের মধ্য কথা হচ্ছিলো।মিম আমার গার্লফ্রেন্ড।বড়
লোক বাবার আদরের দুলালি।ওর বাবা ওর বিয়ে ঠিক করছে। এখন মিম আমার সাথে পালাতে চায়। মেয়েটা হয়তো অনেক ভালোবাসে। আর আমারই বা কি করার আছে.????যেখানে একবেলা নিজেই খাইতে পারিনা ওকে খাওয়াবো কি??বলতে গেলে ওর টাকাই এতদিন চলে আসছি। হারিয়ে ফেললাম নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে।
.
মেসে এসে শুয়ে আছি। আজকে অনেক কষ্ট হচ্ছে। চিরচেনা শহরটাকেও ছেড়ে দিতে হবে। দুইদিন এর মধ্য।মিমকে অনেক ভালোবাসি।আর হয়তো আমার জিবনে কেউ আসবে না।যদি আসেও আমি মেনে নিব না।ভাবতেছি মিমের সাথে কাটানো।মুহূর্ত গুলো। খুব ভালোই ছিলো দিনগুলো।ভেবে নিয়েছিলাম আমি হয়তো তাকে পাবো শত কষ্টের বিনিময়ে।তা আর হবে না......হারিয়ে গেল আবারও আরেকটি প্রিয় মানুষ...
.
মিমের সাথে পরিচয় প্রেম কিভাবে হলো। এসব জানতে হলে আসুন ফ্ল্যাশব্যাকে যাই.......
ফ্ল্যাশব্যাক
-একদিন কলেজের মাঠে বসে আছি।তখন একটি মেয়ের ব্যাক থেকে কিছু টাকা মাটিতে পড়ে গেল।আর মেয়েটা ছিল আমাদের কলেজ এর ওই।আমি তখন ডাক দিলাম......
-এই যে আপু?আপনার টাকা পড়ছে.??
-মেয়েটা পিছন ফিরে তাকাল আর টাকাগুলো তুলে নিল...
-আমি চলে যাচ্ছি তখন আমাকে বলল.......
-নাম কি???
-ইয়ে মানে (আসলে কখনো কোনো মেয়ের সাথে কথা বলেনি লজ্জা লাগছিলো)
-কি ইয়ে মানে মানে করছ?নাম কি?(আপনি করে বলার কথা উল্টা তুমি করে বলতেছে)
-জ্বি আপু আলভী(যদিও ছোট)
-তোমার নাম জ্বি আপু আলভী??
-না ইয়ে আসলে আপনাকে আপু ডাকছি আর আমার নাম আলভী....
-ওহহহ।আমি তোমার ছোট তাইনা???
-হুম আপু.....
-তাইলে আপু আপু করতাছো কেন??আমি কিভাবে আপু হই???
-ইয়ে মানে অপরিচিত মেয়েদের আপু বলেই ডাকতে হয়???
-হুম আর আপু বলে ডাকবা না????নাম ধরে ডাকবা????আমার নাম মিম..
-আচ্ছা আপু???
-আবার আপু???
-সরি।আমি এখন যাই....
.
চলে আসছি ওই মেয়ের কাছ থেকে।আহ এতক্ষণে প্রানটা ফিরে আসছে। মনে কি লজ্জার ব্যাপার।দেখি কতগুলো ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আসলে মিম অনেক সুন্দর অনেক ছেলেই লাইন মারতে চাই।কিন্তু মিম কাউকে পাওা দেয়।এমনকি কোনো ছেলের সাথে কথাও বলেনি।আজকে আমার সাথে বলল।আর আমি ক্যাম্পাাসে ক্ষ্যত নামেই পরিচিত। গরিব বাবার সন্তান আমি। হাজার হলেও স্টাইল করা এসব আমাকে মানায় না।একমাএ আমি জানি বাবায় কত কষ্ট করে আমাকে পড়ালেখার খরচ চালাচ্ছে। বাবাকে বলছিলাম......
-আব্বা আমি টিউশনি করি?এতে তোমার কষ্ট ও কমবে।
-বা পুত তুমি টিউশনি কইরো না।মন দিয়া পড়াশোনা কর?আর টাকা লাগলে আমাকে বলবা।আমি দিব।তোমাকে অনেক বড় হতে হবে।
-দোয়া কইরো আব্বা।
-হ তুমি ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া কইরো???
-হুম।আপনিও নিজের যত্ন নিবেন
.
পরদিন কলেজের মাঠে একা বসে আসি। হঠাৎ করে মিম আমার পাসে বসল।আমি একটু দুরে গিয়ে বসলাম। হয়তো ভুল করে বসে পড়ছে।মিম আবার আমার পাসে এসে বসল।আর বলতে লাগল.....
-কি ব্যাপর ওখান থেকে চলে আসলা যে???
-এমনি....
-এমনি মানে কি???আর মাঠে এভাবে একা বসে আছো কেন??তোমার কোনো বন্দু নাই??
-প্রথমত আমি ক্ষ্যত দ্বিয়ীয়ত আমার বাবার এত টাকা নাই সো বন্ধুও নাই....
-তোমার বাবা কি করে???
-সামান্য কৃষক??
-ওহহ চলবে???
-কি চলবে??
-কিছুনা.....
-আচ্ছা আলভী শুনো???
-জ্বী.....
-আসলে আমি তোমাকে ভালোবাসি।তুমি গরিব এটা আমি জানি। তবুও তোমাকে অনেক ভালোবাসি।যেদিন কলেজে প্রথম আসি ওই দিন থেকে তোমাকে অনুসরন করি........
-হিহিহি.....প্রাংক করতে আসছেন?????
-তোমার কাছে প্রাংক মনে হয়???
-হুম..
-কেন???
-ভালোবাসেন তাও আবার গরিবদের।পুরাই হাস্যকর।এটাকে ভালোবাসা বলে না এটাকে বলে করুনা......
-দেখো আমি তোমাকে সত্যি অনেক ভালোবাসি...
-ভাল...
.
বলেই চলে আসছি। এভাবে কয়েকটা দিন গেল ওর জ্বালানো আর বেশি বেড়ে গেল।ওর এসব দেখে কয়েকটা ছেলে ট্রেট ও দিছে। বলছে আমি যেন ওর সাথে না মিশি।মিশলে আমাকে মারবে।আর মিমের জ্বালনো বেড়ে গেল।আমিও ওর মায়াতে পড়তে লাগলাম।বলতে গেলেই ভালোবেসে ফেলছি। কিন্তু ওকে বলি না
.
একদিন ফুটপাতে বসে সিংগারা খাচ্ছি।তখন মিম এসে পাশে বসল।আমার অনেক জ্বাল লাগছে তাই পানি খাচ্ছি। আর এদিকে মিম আমার রাখা অর্ধেক সিংগারা খেয়ে ফেলল.....
-এটা কি হলো???
-কই কি হলো??
-তুৃমি আমার সিংগারা খাইলা কেন???
-অনেক ক্ষুধা লাগছে তাই....
-তো ভালোটা খাইতা।আমি যেটা খাইছি ওটা কেন খাইছো????
-আমার ভালো লাগছে তাই
.
.
হঠাৎ করে কয়টা ছেলে আসল.....
-কিরে তোকে না করছি না মিমের সাথে না মিশতে???
-আসলে ভাইয়া??পুরটা বলার আগেই
-ঠাস ঠাস
-ওই আপনি আমার বফ কে মারলেন কেন???
-এটা তোমার বফ??বিশ্বাস হয়না???
-কি করলে বিশ্বাস হবে????
-ওরে লিপ কিছ কর???
.
আমিও লিপ কিছ করে দিলাম। আসলে চর খেয়ে অনেক রাগ ওঠছে।কিছ করার পর মিম তো অবাক।আমি ঠোঠ ছাড়াতে চাইছি ও ছাড়ছে না।অনেক কষ্টে ছাড়ালাম।ওই ছেলেরা চলে গেল।
আর আমাদের ভালোবাসাটার শুভ সূচনা এখান থেকেই....
.
.
এভাবে দিনগুলো কাটতে লাগল।ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম বলে মেয়েরা বিভিন্ন সাহায্যর জন্য আসতো।আর এটা দেখে মিম অনেক রেগে যেত।অন্যকারো পাশে সহ্য করতে পারত না।হঠাৎ একটা খবরে পাল্টে যাবে আমার জিবন.
.
.
এভাবে দিনগুলো কাটতে লাগল।ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম বলে মেয়েরা বিভিন্ন সাহায্যর জন্য আসতো।আর এটা দেখে মিম অনেক রেগে যেত।অন্যকারো পাশে সহ্য করতে পারত না।হঠাৎ একটা খবরে পাল্টে যাবে আমার জিবন.........একদিন বাবার নাম্বার থেকে কল আসল।আর কলটা দিছেন আমার কাকা.........
-হ্যালো????
-হ্যালো আলভী তুই তারাতারি বাড়িতে আই??
-কেন কি হয়ছে???আর আব্বা কই???
-তোর আব্বা আর নেই????
-কি বলো নেই মানে কি???
-তোর আব্বা ধানের ক্ষেতে কাজ করতে গেছিলো পরে খাম্বা থেকে কারেন্ট এর লাইন পানিতে পরে।আর তোর আব্বা পানিতে ছিল ফলে কারেন্ট এর শর্ট খেয়ে মারা যায়।আর বাবা প্লিজ তারাতারি বাড়ি আই?????
-হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেল।কেউ যেন সময়টাকে আটকে ফেলছে।সবকিছু কেমন দুু:স্বপ্নপের মতো মনে হলো।
.
মূহূর্তের মধ্য আমার ঘোর কেটে গেল। আমি কোনো মতে গ্রামে এলাম।চোখ দিয়ে অটোমেটিক জল পড়তে লাগল।কোনো মতে বাসায় গেলাম।এরকম একটা দৃশ্য দেখতে হবে কল্পনা করতে পারিনি।
অনেক কান্না করছি।সবাই আমাকে শান্তনা দিতে লাগল। বাবার দাফন কাপন শেষ হলো।
.
আমি কবরের পাশে বসে আছি।আর বলতেছি।হে আল্লাহ তুমি আমাকে কেমন পরিক্ষায় ফেললে।ছোটবেলায় মাকে কেড়ে নিলা।যিনি আমাকে মায়ের কষ্ট বুজতে দেননি আজকে সেই বাবা টাকেও কেড়ে নিলা।আমি এখন কি নিয়ে বাচব।আল্লাহ....
.
কাকা এসে আমাকে দেখল আমি কবরস্থানে বসে আছি আর কান্না করতেছি।কাকা কাধে হাত দিতেই আমি পিছনে ঘুরলাম।কাকা বলতে লাগল......
-মৃত মানুষদের জন্য কান্না করলে তাদের কবরে আজাব বারে।আর তোর বাবার জন্য দোয়া কর যেন আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করে....
-নিশ্চুপ কান্না করছি।
-বাবা মানুষ মরণশীল সবাইকে একদিন মরতে হবে। আর তুই তো এসে কিছু খাসনি চল খাবি???
-খেতে ইচ্ছা করছে না.....
-আরে না খেলে দুর্বল হয়ে যাবি আয়...
.
একপ্রকার জোর করেই নিয়ে গেল।খাবার টেবিলে বসতেই বাবার কথা মনে পরে গেল।আমি এখন ও কান্না করছি.।খেতে পারছি না তাই ওঠে চলে এলাম.
.
.
আর দুইদিন থেকে আবার সেই শহরে চলে আসলাম।আর এদিকে দুইদিন আমাকে দেখতে না পেয়ে মিম প্রায় পাগল হয়ে গেছে।আমার মোবাইলে হাজার হাজার মেসেজ এবং কল দিছে।ফোন বন্ধ ছিল তাই আমার কিছুই করার ছিল না।মিম আমার রুমমেট দের কাছে আমার খবর জানতে চাইল তারা কেউ বলতে পারল না।সবাই একি উওর দিছে।আলভী কই গেছে সঠিক জানিনা........
.
.
আমি রুমে ডুকতেই সবাই বলতে লাগল..........
-কিরে হঠাৎ করে কোথায় উদাও হয়ে গেছিলি???
-নিশ্চুপ......
-কিরে কথা বলিস না কেন???কি হইছে তোর???
-আমি সব খুলে বললাম....
-তারা সবাই আমাকে সান্তনা দিতে লাগল।তোর বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল সেটা পূরন করার চেষ্টা কর??
.
.
পরদিন কলেজে গেলাম।মিম আমাকে দেখেই আমার কাছে চলে আসল।আমাকে বলতে লাগল......
-কইছিলা তুমি?????তোমাকে কত মিছ করছিলাম জানো???নিজেকে মরার মতো লাগছিলো....
-নিশ্চুপ মাথা নিচু করে বসে আছি
-কি হলো এভাবে বসে আছো কেন???কথা বলো????
-আসলে মিম শুনো????
-কি বলো??
-আমার পক্ষে এই রিলেশনটা রাখা সম্ভব না......
-পাগল হয়ে গেছো তুমি???কি বলো??আর কেন সম্ভব না???
-আমি সব খুলে বললাম.....
-আমাকে একবার জানালেও পারতা.....
-দেখো আমার এই অনিশ্চিত লাইফে তোমাকে জড়াতে পারবা না।হয়তো শহরটা ছেড়ে দিতে হবে।
-কেন শহর ছাড়বা কেন???
-পড়ালেখার খরচ চালাব কি করে???
-তুমি টিউশনি কর??
-ওকে
.
.
তারপর থেকে টিউশনি শুরু। শুধু মিম কেই পড়াতাম।আর মিম অন্য কাউকে পড়ানোর জন্য দিত না।মাস শেষে যেই টাকাটা দিত। তা দিয়ে আমার ভালোই চলত।এভাবেই চলতে লাগল।বাবাকে অনেক মিস করি।
যেভাবেই হোক বাবার স্বপ্প পূরন করতেই হবে।দিনগুলো ভালোই যাচ্ছে। একটা বছর কেটে গেল।ইন্টারে ভালোই রেসাল্ট করলাম।
.
.
এটাই ছিলা আমার ফ্লাশব্যাকের গল্প।এখন বর্তমানে আসি।শুয়া থেকে বসলাম।কাপড় চোপড় গোছাচ্ছি।কালকেই চলে যাব।যার জন্য এই শহরে ছিলাম।সেও এখন অন্যকারো হয়ে যাবে।
.
.
বিকেলবেলায় বড় ভাই এসে দেখল আমার ব্যাগ গোছানো।তখন আমাকে জিজ্ঞেস করল........
-কিরে কোথাও যাবি নাকি???ব্যাগ গোছানো যে???
-হুম কালকের মধ্যই এ শহর ছেড়ে দিব গ্রামে চলে যাব....
-কেন কি হয়ছে তোর???
-তারপর বড় ভাইকে সব খুলে বললাম.......
-একটা মেয়ের জন্য তুই তোর বাবার স্বপ্নটা পূরন করবি না????
-চাইলেও তো আর সব সম্ভব না?
-কেন????
-ওরে প্রাইভেট পড়িয়ে আমার সব খরচ চালাতাম।এখন আর টিউশনি ও পাবো না খরচ ও চালাতে পারব না।কিভাবে চলব????
-শুন??
-কি??
-আমার কাছে নতুন একটা ছাএী আছে। আমাকে বলছিলো প্রাইভেট পড়ানোর জন্য।চাইলে তুই ওকে পড়াতে পারিস??
-কিন্তু ভাই....
-কোনো কিন্তু না। তোর বাবার স্বপ্নটা পূরন কর.......
-হুম
.
.
বড় ভাইটা সেদিন অনেক বড় উপকার করেছিল।আসলেই তো একটা মেয়ের জন্য আমি বাবার স্বপ্নটা পূরন করব না।আমি আবার নতুন করে সব শুরু করব।পরদিন থেকে মেয়েটাকে পড়ানো শুরু করলান।আগে পড়াতাম প্রিয় মানুষটাকে। এখন পড়ানো লাগবে অন্যকাউকে...
.
.
১৫ টা দিন চলে গেল।এর মাঝে মিমকে অনেক মিস করতাম।হয়তো এতদিনে মিম অন্যকারো হয়ে গেছে।
.
.
পরের দিন মিম টিউশনিতে যাবো মিম আমাকে কল দিল........
-কেমন আছো???
-এইতো ঠিকঠাক।তুমি???
-ভালো।কি কর???
-এইতো টিউশনি করতে যাব।তুমি??
-বসে আছি।আচ্ছা আজকে মিট করতে পারবা....
-কেন???
-এমনি কথা আছে।কখন আসবা????
-টিউশনি শেষ করে আসব।কোথায় মিট করবা???
-যেখানে আমরা সবসময় করি
-ওকে
.
.
আমি টিউশনি শেষ করে সেখানে গেলাম।প্রায় সময় এখানে মিট করতাম।মিম আমার আগে এসে বসে আছে।আমি কাছে যেতেই..
-বস.....
-একটু দুরে বসলাম....
-দেরি হলো যে???
-পড়াতে গিয়ে.....
-ওহহ
-কি করছ আজকাল???
-কই কিছু না তো.....
-চেহারার এই অবস্থা হয়ছে কেন???
-জানি না। আগের মতোই আছি....
-আমাকে এখনো ভালোবাসো???
-ভালো তো একজনকেই বাসা যায়...
-আমাকে পাওয়ার ইচ্ছা হয় না???
-চাইলেও সব পাওয়া যায় না......
-যদি ফিরে আসি....
-চাইলেও ফিরতে পারবে না।তুমি এখন অন্যকারো বউ....
-আমি অন্যকারো না....তোমার আছি তোমার ওই থাকবো......
-হাহাহা হাস্যকর....
-কেন???
-তোমাকে তো আংটি পড়িয়ে ফেলছে....
-পড়াইনি.....
-মানে কি বলো এসব.....
-যা সত্যি তাই......
-কি কিভাবে সম্ভব.....
-হুম সম্ভব।যার সাথে আমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো ওকে সব কিছু বুজিয়ে বলি।আর সে আমার বাবাকে বলল আমাকে বিয়ে করবে না।তখন আমি আমার বাবাকে সব খুলে বলি প্রথমে রাজি না থাকলেও শেষে রাজি হয়ে গেল.....
-ওহহহ।কিভাবে রাজি করালে????
-রাজি বলতে পুরটা না। ওনি তোমাকে শর্ত দিছেন সেটা পূরন করতে পারলে পুরটা রাজি হবেন।
-কি শর্ত???
-তোমাকে ডাক্তার হতে হবে......
-হুম চেষ্টা করব।আচ্ছা শুনো??
-কি?
-আমি যদি শহর ছেড়ে চলে যেতাম????
-চাইলেও পারতে না??
-কেন??
-তুমি যে টিউশনিটা কর এটা আমিই ম্যানেজ করে দিছিলাম।বড় ভাইকে বলছিলাম।তোমাকে যেন বলে।আর যাকে পড়াও সে আমার বান্ধবী....
-ওমা তাই....
-হুম বলেই কাধে মাথা রাখল....
.
.
ভালোবাসা রঙিন আকাশের মতো।ক্ষনে ক্ষনে রং বদলায়।আমার কাথে মাথা রেখে সূযাস্ত দেখতে লাগল।কালকে থেকে শুরু হবে জীবনের আরেক গল্প।যেটা শুধু পূর্নতায় ভরা...
.
.
সমাপ্ত

No comments:

Post a Comment