হঠাৎ একদিন দেখলাম।কনক একটা ছেলের সাথে বসে আছে?দেখে বিশ্বাস করতে
পারছিলাম না।বুকের ভেতর চিনচিন ব্যাথা হচ্ছে।তবুও কনকের কাছে গেলাম......
-হাই বউ এই ছেলের সাথে কি কর??
-এই কে তোর বউ???আর এই ছেলে কে মানে???
-তুৃমি আমার বউ।ও ছেলেটা তোমার ফ্রেন্ড তাই না??
-না তো???
-তাহলে কি???
-আমার বফ.......
-শুনে অনেক কষ্ট পাইছিলাম।তবুও বললাম....
-সত্যি করে বল এটা কে????
-আরে আজব তো????মিথ্যা বলার কি আাছে???
-কনক প্লিজ ফান কইরো না।আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি...
-তোর সাথে ফান করব কেন????এটা আমার বফ।আর শোন ও মেডিকেল এর ভালো একটা ছাএ।ওর সাথে আমার লাইফ স্যাটেল হয়ে যাবে।আর হ্যা তুই বেহায়ার মত আর আমার পিছনে ঘুরিস না।ভালো ফ্যামিলি ছেলে হলে এমনি তেই আর আসবি না।
-আচ্ছা বাই ভালো থেকো...
.
.
চলে আসলাম ওর কাছ থেকে।মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম আর যাবো না ওর সামনে। আসলে বেশি ভালোবাসি বলেই বেহায়ার মত পিছু ঘুরতাম। আর ঘুরবো না।আমি খারাপ হতে পারি।বাট আমার ফ্যামিলি খারাপ না।কালকে থেকে নতুন রুটিনে তৈরি করব।যেটা থেকে কনকের পিছু ঘুরা এটা বাদ পড়বে।রাতে অনেক কান্না করলাম।
. .
সকালে ওঠে ছাদে গেলাম। দেখলাম কনক ও দাড়িয়ে আছে। ওরে দেখে চলে আর ছাদে থাকলাম না।সোজা রুৃমে চলে এলাম।একটু পরে কলেজে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হইছি।দেখি কনকও দাড়িয়ে আছে।আমি সোজা নিজের দিকে চেয়ে হেটে অনেকটুকু চলে আসলাম।কনক আমাকে এভাবে আসতে দেখে পুরাই অবাক।ও একটা রিক্সা করে চলে গেল।আমি আরেকটা রিক্সা নিয়ে কলেজে আসলাম।তারপর কলেজে ক্লাস করে বাসায় চলে আসলাম।আর এখন কনকের কাছেও প্রাইভেট পড়তে যাই না।যদি আবার ওর সামনে পড়ে যাই।ওর থেকে দুরে দুরে থাকার চেষ্টা করি।তবুও মাঝে মাঝে ভুল বশত সামনে পরে যাই।আর এখন বেশি ছাদে যাই না।কনকের ভালো করেই বুজতে পারছে আমি ওকে ইগনোর করি। আমার সাাথে অবশ্য কথা বলতে চাই।কিন্তু এর আগেই কেটে পরি।আমাদের রুৃমে আগে আসতো না এখন একটু বেশি বেশি আসে। আমার খোজ খবর ও নেই।যখম আমাদের রুমে ডুকে।অন্য রুম দিয়ে আমি বের হয়ে যাই।আমার এরকম আচরনে কনক অনেকটা কষ্ট পায়। এভাবে কয়েকটা দিন গেল।
.
.
হঠাৎ একদিন রাস্তা দিয়ে হেটে আসতেছি তখন পিছন থেকে এক মেয়ে এসে জড়িয়ে ধরল।আর কনক রিক্সায় ছিল সেটা দেখে ফেলল।ও চলে গেল আর রাগি লুকে তাকাল।আমি মেয়েটাকে বললাম.........
-কি ব্যাপার পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন কেন????
-আসলে ভাইয়া সরি।আপনাকে পিছন থেকে আমার বফ এর মত লাগছিলো।
-এমা কয় কি।বফ হইলেই পাবলিক প্লেসে এভাবে ধরবেন???
-মেয়েটা লজ্জা পেল
-দিছেন তো বারোটা বাজিয়ে।
.
.
কনক এটা দেখে মনে করছে এটা আমার গফ।আর এভাবে জড়িয়ে ধরতে দেখে হেব্বি রেগে গেছে।আমি কলেজে চলে আসলাম।কলেজ শেষ করে বাসায় আসলাম।রুৃমে শুয়ে আছি তখন কনক রুমে ডুকল।আমি পালাতে যাব তখনি কলার ধরে বলল....
-কিগো কোথায় পালাচ্ছো???(তুম
ি করে বলল)
-কই কোথাও না তো?
-আমাকে ইগনোর কর কেন???
-আরে আপু আপনাকে ইগনোর করব কেন।আমি তো আপনার কথাগুলো মানার চেষ্টা করছি...
-ওই তুমি আপনি আপনি করতাছো কেন????
-বড়দের আপনি আপনি করেই ডাকতে হয়..
-তাহলে আগে তুৃৃমি করে বলতা কেন???
-আগে ভালোবাসতাম.....
-এখন ভালোবাসো না???
-না।ভালোবেসেও আর লাভ নাই আপনি অন্যকরো টা ছাড়েন...
-আরে শুনবা তো...
-আমার একটু তাড়া আছে আমি গেলাম।
.
.
কনক কান্না করে দিল।আসলে প্রিয় মানুষটা বদলে গেলে সবার এরকমি লাগে।কথাগুলো বলতে আমার ও কষ্ট হইছিলো।বাট না বললে বুজবে না।প্রিয় মানুষটাকে দূরে ঠেলে দিলে কেমন কষ্ট হয়।আমার ও এক সময় হইছিলো।কয়েকটা দিন কষ্ট দিয়ে পরে মেনে নিব।
.
.
ওরে দেখাইয়া দেখাইয়া ওর বান্ধবীদের সাথে হেসে হেসে কথা বলি।কনক দেখে আর অনেক রেগে যায়।ওরে রাগাতে আমার অবশ্য ভালোই লাগে। পরক্ষনেই মনে পরে যাই ওর তো বফ আছে।আর ইদানিং কনকের চেহারাটা কেমন রোগা হয়ে গেছে।বেশি খায় না মনে হয়।আর কান্নাও করে।এভাবে কয়েকটা দিন গেল...
.
.
.
একদিন রাতের বেলায় বাসায় আসতেছি।আমি একটা ফ্রেন্ডের জন্মদিনে গেছিলাম।ওখান থেকে আসতে লেইট হয়ে গেছে। আসতেছি তখন দেখলাম কিছু বখাটে একটা মেয়েকে ডিস্টার্ব করতেছে।আমি ওদের কাছে গেলাম মেয়েটা আর কেউ নয় কনক।ওরে দেখে আরো বেশি রাগ ওঠছে।এত রাতে বাইরে কি করে.।আমি বখাটেদের বললাম...।
-কি ব্যাপার বড় ভাই।মেয়েটাকে আটকাইছেন কেন???
-তোরে বলা লাগব....(একটা)
-আমাকে বলবা কেন????এইটা দেখ???
-ভিডিও সবাই দেখল.......
-আচ্ছা ভাই আমি যাই তাহলে।কালকে যখম ভিডিও ভাইরাল হবে।তখন দেইখো।
-আচ্চা ভাই তোর দুইটা পায়ে ধরি মেয়েটা ছেড়ে দিলাম।আর ভাই ভিডিও ডিলেট করে দে????আর এইটা পাইলি কই???
-এতকিছু বুজা লাগবে না যেখানে হোক পাইছি।
-ভাই ডিলেট করে দে???
-ওকে যা দিমু।ভাগ সালা....
.
.
ওরা চলে গেল।আমি হেটে আসতেছি।তখন অনেক বৃষ্টি শুরু হলো।কনক ছাতা বের করল......
-এই নাও ছাতা???
-লাগবে না?
-পরে জ্বর আসবে তো???
-বেশি চিল্লাইলে একা রেখে চলে যাব...
-ওকে চুপ করে থাকলাম
.
.
তারপর কনক আর আর কথা বললো না।আমি বাসায় এসে কাপর চেন্জ করে ফ্রেশ হয়ে আসলাম।তারপর একটা ঘুম দিলাম। সকালে ওঠে কেমন জ্বর জ্বর লাগল।কিন্তু বিকেল বেলায় অনেক বেড়ে গেল।পরে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে গেল।পরে আর কিছু মনে নাই।সকালে ওঠে দেখি কনক আমার বুকের উপর শুয়ে আছে।রাতে মনে হয় জেগে ছিল।আমি নরাচরা করতেই কনক জেগে গেল.।কনক মাথায় হাত দিয়ে বলল......
-জ্বর তাহলে একটু কমছে???
-হুম
স্বপ্নীল একটা কথা বলি???
-একটা না হাজারটা বলেন???
-স্বপ্নীল আমি তোমাকে সত্যি অনেক ভালোবসি......
-আর কিছু বলবেন????
-এমন কর কেন????সত্যি অনেক ভালোবসি।
-আমি ভালোবাসি না....এখন আসতে পারেন
-কনক কান্না করতে করতে চলে গেল...
-আমিও ভাবলাম আর ওকে কাদানো যাবে না।দুইদিন পর ওর জন্মদিন ওকে মেনে নিব....
.
.
আম্মু আসল।এসে বলতে লাগল.....
-কিরে কনককে কি বলেছিস।এভাবে কান্না করতে করতে চলে যাচ্ছে..
-কই কিছু না তো??
-মেয়েটা কত লক্ষি সারাটা রাত একটু ঘুমাই নাই সারারাত তোর সেবা করছে
-ওহহ
.
.
আম্মু চলে গেল।হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে আসলাম।দেখতে দেখতে দুইটা দিন চলে গেল।ওর জন্মদিন চলে আসল।আমি রাতে কল দিলাম.।পাচ বারের মাথায় ধরল........
-কনক একটু ছাদে আসো তো???
-এতরাতে কেন???
-আসতে বলছি আসো???
.
.
একটু পরেই আসল।আসতেই আমি ছাদের লাইট জ্বালিয়ে দিলাম।টেবিলে একটা জন্মদিনের কেক আছে। দেখে জিজ্ঞেস করল....
-কার জন্মদিন??
-তোমার জন্মদিন
-শুনে অভাব হয়ে গেছে
.
.
তারপর ওরে উইশ করলাম।আর একটা আংটি দিয়ে প্রপোজ করলাম......
-আই লাভ ইউ কনক???
-এভাবে হবে না....
-তাহলে কিভাবে..??
-আগে গোলাপ নিয়ে আসো..
.
.
আমি ছাদের এক কোন থেকে একটা গোলাপ ফুল আনলাম।তার পর প্রপোজ করলাম.....
- I love you...Do you love me????I will marry you...You will marry me???
-yes. Iove you too...
-জড়িয়ে ধর??
-জড়িয়ে ধরল...
.
.
তারপর দোলনায় বসে আছি।ও আমার কাদে মাথা রেখে বসে আছে।কনক বলতে লাগল......
-জানো বাবু আমি তোমাকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসতাম। কিন্তু আমি তোমাকে পরিক্ষা নিছিলাম।আর এই ছেলেটা আমার ফ্রেন্ড ছিল??
-ওহহহহ তাই....
-হুম।
-আচ্ছা বাবু মিষ্টি দাও??
-আগে ওদের যেতে বলো???
-যান মিয়ারা। মিষ্টিটা খাইতে দেন।আর নেক্সট গল্প পইরেন।
.
.
.
The end
-হাই বউ এই ছেলের সাথে কি কর??
-এই কে তোর বউ???আর এই ছেলে কে মানে???
-তুৃমি আমার বউ।ও ছেলেটা তোমার ফ্রেন্ড তাই না??
-না তো???
-তাহলে কি???
-আমার বফ.......
-শুনে অনেক কষ্ট পাইছিলাম।তবুও বললাম....
-সত্যি করে বল এটা কে????
-আরে আজব তো????মিথ্যা বলার কি আাছে???
-কনক প্লিজ ফান কইরো না।আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি...
-তোর সাথে ফান করব কেন????এটা আমার বফ।আর শোন ও মেডিকেল এর ভালো একটা ছাএ।ওর সাথে আমার লাইফ স্যাটেল হয়ে যাবে।আর হ্যা তুই বেহায়ার মত আর আমার পিছনে ঘুরিস না।ভালো ফ্যামিলি ছেলে হলে এমনি তেই আর আসবি না।
-আচ্ছা বাই ভালো থেকো...
.
.
চলে আসলাম ওর কাছ থেকে।মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম আর যাবো না ওর সামনে। আসলে বেশি ভালোবাসি বলেই বেহায়ার মত পিছু ঘুরতাম। আর ঘুরবো না।আমি খারাপ হতে পারি।বাট আমার ফ্যামিলি খারাপ না।কালকে থেকে নতুন রুটিনে তৈরি করব।যেটা থেকে কনকের পিছু ঘুরা এটা বাদ পড়বে।রাতে অনেক কান্না করলাম।
. .
সকালে ওঠে ছাদে গেলাম। দেখলাম কনক ও দাড়িয়ে আছে। ওরে দেখে চলে আর ছাদে থাকলাম না।সোজা রুৃমে চলে এলাম।একটু পরে কলেজে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হইছি।দেখি কনকও দাড়িয়ে আছে।আমি সোজা নিজের দিকে চেয়ে হেটে অনেকটুকু চলে আসলাম।কনক আমাকে এভাবে আসতে দেখে পুরাই অবাক।ও একটা রিক্সা করে চলে গেল।আমি আরেকটা রিক্সা নিয়ে কলেজে আসলাম।তারপর কলেজে ক্লাস করে বাসায় চলে আসলাম।আর এখন কনকের কাছেও প্রাইভেট পড়তে যাই না।যদি আবার ওর সামনে পড়ে যাই।ওর থেকে দুরে দুরে থাকার চেষ্টা করি।তবুও মাঝে মাঝে ভুল বশত সামনে পরে যাই।আর এখন বেশি ছাদে যাই না।কনকের ভালো করেই বুজতে পারছে আমি ওকে ইগনোর করি। আমার সাাথে অবশ্য কথা বলতে চাই।কিন্তু এর আগেই কেটে পরি।আমাদের রুৃমে আগে আসতো না এখন একটু বেশি বেশি আসে। আমার খোজ খবর ও নেই।যখম আমাদের রুমে ডুকে।অন্য রুম দিয়ে আমি বের হয়ে যাই।আমার এরকম আচরনে কনক অনেকটা কষ্ট পায়। এভাবে কয়েকটা দিন গেল।
.
.
হঠাৎ একদিন রাস্তা দিয়ে হেটে আসতেছি তখন পিছন থেকে এক মেয়ে এসে জড়িয়ে ধরল।আর কনক রিক্সায় ছিল সেটা দেখে ফেলল।ও চলে গেল আর রাগি লুকে তাকাল।আমি মেয়েটাকে বললাম.........
-কি ব্যাপার পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন কেন????
-আসলে ভাইয়া সরি।আপনাকে পিছন থেকে আমার বফ এর মত লাগছিলো।
-এমা কয় কি।বফ হইলেই পাবলিক প্লেসে এভাবে ধরবেন???
-মেয়েটা লজ্জা পেল
-দিছেন তো বারোটা বাজিয়ে।
.
.
কনক এটা দেখে মনে করছে এটা আমার গফ।আর এভাবে জড়িয়ে ধরতে দেখে হেব্বি রেগে গেছে।আমি কলেজে চলে আসলাম।কলেজ শেষ করে বাসায় আসলাম।রুৃমে শুয়ে আছি তখন কনক রুমে ডুকল।আমি পালাতে যাব তখনি কলার ধরে বলল....
-কিগো কোথায় পালাচ্ছো???(তুম
-কই কোথাও না তো?
-আমাকে ইগনোর কর কেন???
-আরে আপু আপনাকে ইগনোর করব কেন।আমি তো আপনার কথাগুলো মানার চেষ্টা করছি...
-ওই তুমি আপনি আপনি করতাছো কেন????
-বড়দের আপনি আপনি করেই ডাকতে হয়..
-তাহলে আগে তুৃৃমি করে বলতা কেন???
-আগে ভালোবাসতাম.....
-এখন ভালোবাসো না???
-না।ভালোবেসেও আর লাভ নাই আপনি অন্যকরো টা ছাড়েন...
-আরে শুনবা তো...
-আমার একটু তাড়া আছে আমি গেলাম।
.
.
কনক কান্না করে দিল।আসলে প্রিয় মানুষটা বদলে গেলে সবার এরকমি লাগে।কথাগুলো বলতে আমার ও কষ্ট হইছিলো।বাট না বললে বুজবে না।প্রিয় মানুষটাকে দূরে ঠেলে দিলে কেমন কষ্ট হয়।আমার ও এক সময় হইছিলো।কয়েকটা দিন কষ্ট দিয়ে পরে মেনে নিব।
.
.
ওরে দেখাইয়া দেখাইয়া ওর বান্ধবীদের সাথে হেসে হেসে কথা বলি।কনক দেখে আর অনেক রেগে যায়।ওরে রাগাতে আমার অবশ্য ভালোই লাগে। পরক্ষনেই মনে পরে যাই ওর তো বফ আছে।আর ইদানিং কনকের চেহারাটা কেমন রোগা হয়ে গেছে।বেশি খায় না মনে হয়।আর কান্নাও করে।এভাবে কয়েকটা দিন গেল...
.
.
.
একদিন রাতের বেলায় বাসায় আসতেছি।আমি একটা ফ্রেন্ডের জন্মদিনে গেছিলাম।ওখান থেকে আসতে লেইট হয়ে গেছে। আসতেছি তখন দেখলাম কিছু বখাটে একটা মেয়েকে ডিস্টার্ব করতেছে।আমি ওদের কাছে গেলাম মেয়েটা আর কেউ নয় কনক।ওরে দেখে আরো বেশি রাগ ওঠছে।এত রাতে বাইরে কি করে.।আমি বখাটেদের বললাম...।
-কি ব্যাপার বড় ভাই।মেয়েটাকে আটকাইছেন কেন???
-তোরে বলা লাগব....(একটা)
-আমাকে বলবা কেন????এইটা দেখ???
-ভিডিও সবাই দেখল.......
-আচ্ছা ভাই আমি যাই তাহলে।কালকে যখম ভিডিও ভাইরাল হবে।তখন দেইখো।
-আচ্চা ভাই তোর দুইটা পায়ে ধরি মেয়েটা ছেড়ে দিলাম।আর ভাই ভিডিও ডিলেট করে দে????আর এইটা পাইলি কই???
-এতকিছু বুজা লাগবে না যেখানে হোক পাইছি।
-ভাই ডিলেট করে দে???
-ওকে যা দিমু।ভাগ সালা....
.
.
ওরা চলে গেল।আমি হেটে আসতেছি।তখন অনেক বৃষ্টি শুরু হলো।কনক ছাতা বের করল......
-এই নাও ছাতা???
-লাগবে না?
-পরে জ্বর আসবে তো???
-বেশি চিল্লাইলে একা রেখে চলে যাব...
-ওকে চুপ করে থাকলাম
.
.
তারপর কনক আর আর কথা বললো না।আমি বাসায় এসে কাপর চেন্জ করে ফ্রেশ হয়ে আসলাম।তারপর একটা ঘুম দিলাম। সকালে ওঠে কেমন জ্বর জ্বর লাগল।কিন্তু বিকেল বেলায় অনেক বেড়ে গেল।পরে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে গেল।পরে আর কিছু মনে নাই।সকালে ওঠে দেখি কনক আমার বুকের উপর শুয়ে আছে।রাতে মনে হয় জেগে ছিল।আমি নরাচরা করতেই কনক জেগে গেল.।কনক মাথায় হাত দিয়ে বলল......
-জ্বর তাহলে একটু কমছে???
-হুম
স্বপ্নীল একটা কথা বলি???
-একটা না হাজারটা বলেন???
-স্বপ্নীল আমি তোমাকে সত্যি অনেক ভালোবসি......
-আর কিছু বলবেন????
-এমন কর কেন????সত্যি অনেক ভালোবসি।
-আমি ভালোবাসি না....এখন আসতে পারেন
-কনক কান্না করতে করতে চলে গেল...
-আমিও ভাবলাম আর ওকে কাদানো যাবে না।দুইদিন পর ওর জন্মদিন ওকে মেনে নিব....
.
.
আম্মু আসল।এসে বলতে লাগল.....
-কিরে কনককে কি বলেছিস।এভাবে কান্না করতে করতে চলে যাচ্ছে..
-কই কিছু না তো??
-মেয়েটা কত লক্ষি সারাটা রাত একটু ঘুমাই নাই সারারাত তোর সেবা করছে
-ওহহ
.
.
আম্মু চলে গেল।হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে আসলাম।দেখতে দেখতে দুইটা দিন চলে গেল।ওর জন্মদিন চলে আসল।আমি রাতে কল দিলাম.।পাচ বারের মাথায় ধরল........
-কনক একটু ছাদে আসো তো???
-এতরাতে কেন???
-আসতে বলছি আসো???
.
.
একটু পরেই আসল।আসতেই আমি ছাদের লাইট জ্বালিয়ে দিলাম।টেবিলে একটা জন্মদিনের কেক আছে। দেখে জিজ্ঞেস করল....
-কার জন্মদিন??
-তোমার জন্মদিন
-শুনে অভাব হয়ে গেছে
.
.
তারপর ওরে উইশ করলাম।আর একটা আংটি দিয়ে প্রপোজ করলাম......
-আই লাভ ইউ কনক???
-এভাবে হবে না....
-তাহলে কিভাবে..??
-আগে গোলাপ নিয়ে আসো..
.
.
আমি ছাদের এক কোন থেকে একটা গোলাপ ফুল আনলাম।তার পর প্রপোজ করলাম.....
- I love you...Do you love me????I will marry you...You will marry me???
-yes. Iove you too...
-জড়িয়ে ধর??
-জড়িয়ে ধরল...
.
.
তারপর দোলনায় বসে আছি।ও আমার কাদে মাথা রেখে বসে আছে।কনক বলতে লাগল......
-জানো বাবু আমি তোমাকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসতাম। কিন্তু আমি তোমাকে পরিক্ষা নিছিলাম।আর এই ছেলেটা আমার ফ্রেন্ড ছিল??
-ওহহহহ তাই....
-হুম।
-আচ্ছা বাবু মিষ্টি দাও??
-আগে ওদের যেতে বলো???
-যান মিয়ারা। মিষ্টিটা খাইতে দেন।আর নেক্সট গল্প পইরেন।
.
.
.
The end
No comments:
Post a Comment