পরে রিকশা করে নানুর বাসার সামনে গেলাম।দরজায় কলিং বেল দিতেই।যে দরজাটা খুলে দিল............
-আপনারে তো ভালো মনে করছিলাম।পিক তুলছেন কিছু বলি নাই।এখন পিছু নিয়া বাসায় চলে আসছেন....?
-ওহ সরি আমি মনে হয় ভূল জায়গায় নক করে ফেলছি।। আচ্ছা আসি..
ওখান থেকে চল ে আসলাম।মনে মনে ভাবতে লাগলাম সালার এটা মাইয়া নাকি অন্যকিছু?? কেমন ঝাড়ি দিয়ে কথাগুলা বলল??ভালো করে বললেই পারত।না এসব ভাবলে তো হবে না।নানুর বাসাটা খুজে বের করতে হবে।দিলাম আম্মুকে কল.........
-হ্যালো আম্মু তোমার বাবার মানে আমার নানার বাসার ঠিকানাটা ভালো ভাবে দাও.?
-ঠিকানা দিল।যদি না পাস কাউকে জিজ্ঞাসা কর?
-আচ্ছা আম্মু বাই।
.
আম্মু যেই ঠিকানা দিল আমি তো সেই জায়গায় দাড়ায়া আছি।মেয়েটা কি আমার সাথে মজা নিল.?আচ্ছা কাউকে ঠিকানটা জিজ্ঞেস করি....
.
-এইযে আংকেল এই ঠিকানাটা চিনেন?
-হুম.. ঠিকানা বলল।
.
এখন বুজলাম এটাই ফারিয়া আমার সাথে মজা নিছে।কারন লোকটাও ঠিক সেইম ঠিকানা দিছে।এখন আমাকে আবার যেতে হবে ওই জায়গায়। হেটে হেটে এসে পড়লাম।আবার দরজায় নক দিলাম।একটা মেয়ে খুলল।ফারিয়ার ছোটবোন হবে.।মেয়েটা আমাকে বলল......
-কি দরকার কাকে চাই...?
-জ্বি আমি এই বাসার মেহমান।এটা আমার নানুর বাসা।
-তার মানে তুমিই ফারাবি ভাইয়া??
-হুম তোমার নাম কি সাদিয়া?
-হ্যা। কেমন আছো ভাইয়া.?
-ভালো তুমি?
-ভালো।আচ্ছা ভিতরে আস?
-ওকে...
.
সাদিয়া এর পিছু পিছু যাচ্ছি। একটু পরে যখন ড্রয়িংরুমে ডুকলাম। দেখি মামি বসে আছে...জিজ্ঞাসা করলাম...
-মামি কেমন আছেন?
-ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?
-ভালো..
-আমাদের তো ভূলেই গেলা সেই কবে আসছিলা??
-আরে কিযে বলেন না যদি ভূলে যেতাম তাহলে কি আর আসতাম???
-ওমা তায় নাকি।তুমি কি ভূলতে পারবা নাকি?
-নাতো।আচ্ছা মামি নানু কই?
-দুতলার চতুর্র নাম্বার রুমে।
-আচ্ছা আমি তাহলে নানুর কাছে যাই?
-আচ্ছা যাও...
.
নানুর রুমের দিকে হাটতে লাগলাম।মনে মনে একজন রে খুজতেছি।সে আর কেউ নয় ফারিয়া।পাজিটা গেল কই?নানুর রুমের সামনে দাড়ায়া আছি।দরজায় নক দিলাম..দরজাটা খুলাই আছে।ভিতরে ডুকলাম...নানু শুয়া আছে।পাশে পাজিটা দাড়ায়া আছে।আমাকে দেখেই একটা ভেংচি কেটে রুমের বাহিরে চলে গেল..আমি নানুকে জিজ্ঞাসা করলাম........
-নানু কেমন আছো?
-চোখ মেলে তাকাল.
-নানু কেমন আছো?
-বেশি ভালো না।আমাকে দেখে কান্না করে দিল.।তুই কেমন আছিস?
-এই তো ভালোই..
-আমাদের তো ভূলেই গেলি?সেই কবে রাগ করে চলে গেছিস আর একবার ও আসিছ নি...
-আসলে ইয়ে মানে নানু পড়ালেখা নিয়া বিজি ছিলাম তাই আসা হয়নি..।
-যা ফ্রেশ হয়ে খেতে যা?
-আচ্ছা.
.
সাদিয়া এতক্ষণ আমার সাথেই ছিল।আমাকে আমার রুমটা দেখিয়ে দিল।আমি রুমে চলে আসলাম।ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হলাম.।দেখি মামি রুমে বসে আছে......
-আরে মামি আপনি এখানে?!!!
-তোমাকে খাওয়ার জন্য ডাকতে এলাম ..
-ওহ আচ্ছা আমি আসতেছি..
.
চলে গেলাম খাবার টেবিলে। ওখানে দেখি।পাজিল টাও বসে আছে....আমি খাচ্ছি হঠাৎ করে ফারিয়া আমাকে বলল....
-ওই দিকে তাকাও তো?
-কেন?বলেই তাকালাম...
.
যখন নিজের প্লেটের দিকে আবার তাকালাম।দেখি আমার প্লেটের মাংস গুলা চুরি হয়ে গেছে...তাকায়া দেখি...ফারিয়া আমার মাংস গুলা রাক্ষস এর মতো খাইতাছে।আমি বললম.....
-এটা কি হলো?
-কি হবে?
-মাংস নিলা কেন?
-মন চাইসে তাই নিছি..।
.
আর কিছু বললাম না। যে ঝগরাটে মাইয়া। পরে আবার কি করে বসে।খাওয়াটা শেষ করলাম।চলে গেলাম রেস্ট নিতে।কতক্ষন শুয়ে থাকলাম।পরে এখানের এক বন্ধুকে কল দিলাম....
-কিরে দুস্ত কই তুই?
-পার্কে। তুই?
-তোদের বাড়ির সামনে....
-ফাইজলামু করিস?
-আরে না সত্যি বলতাছি...
-আচ্ছা তাহলে তুই পার্কে চলে আয়...
.
আমিও পার্কে চলে গেলাম। গিয়া দেখি রাফি। (ওর নাম রাফি)।তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে বসে আছে।আমার মধ্য একটু হারামিগিরি চলে আসল...ওর কাছে গিয়া বললাম....
-আরে রাফি না তুই।আর কত মাইয়া নিয়া ঘুরবি??
-মেয়েট বলল...ভাইয়া কে আপনি আর কি বলতেছেন..
-আরে আমারে আপনি চিনবেন না।ওই যেন ওর নাম রাফি।ও অনেকগুলা মাইয়া নিয়া ঘুরে।কালকেও আসছিল আরেকটা মেয়ে নিয়ে।
-ঠাস ঠাস দুইটা চর দিয়ে মেয়েটা চলে গেল..(রাফি রে দিছে)
.
রাফি বেচারা কান্না করে দিছে।হাজার হলেও গার্লফ্রেন্ড তো...।আমি বললাম...
-কিরে কেমন আছিস?
-ভালো না। তুই কি ভালো থাকতে দিছস?
-আরে দোস্ত কান্না করিস না।কালকে ঠিক করে দিমুনে?
-সত্যি!
-হুম
-আচ্ছা দোস্ত তুই তো এদিকে আসিছ না। হঠাৎ করে চলে আসলি যে?
-সারপ্রাইজ
.
তারপর আরো অনেক কথা হলো।অনেক ঘুরলাম। রাতে নানুর বাসায় ফিরে আসলাম..
ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে গেলাম..দেখি মামা বসে আছে...
-মামা কেমন আছো?
-ভালো।তুই?
-ভালোই।
-কখন এলি?
-দুপুরে
-আসতে অসুবিধা হয়নি তো?
-আরে না.....
-আচ্ছা ভালোভাবে খা..?
-আচ্ছা।
.
খাওয়া শেষ করলাম।এখন ও ফারিয়া আমাকে জ্বালাইছে.।টেবি
-নানু কি কর?
-শুয়া আছি?
-খাইছ?
-হুম একটু আগে।তুই?
-মাএ খেয়ে আসলাম।ঔষধ খাইছ?
- হুম।আচ্ছা তুই ঘুমাতে যা?
-আচ্ছা।তুমিও ঘুমাও...
.
চলে যাচ্চি ঘুমাতে।সাদিয়া সাথে দেখা হয়ে গেল.....।ওর সাথে একটু হাসাহাসি করে কথা বললাম।দেখলাম ফারিয়া রাগে লুচির মত ফুলতাছে।একটু পরেই রুমে চলে আসলাম।পাড়ি জমালাম ঘুমের দেশে।সকালবেলা হাতে গরম কিছু অনুভব করলাম।দেখি আমার হাতের একটা আঙ্গুল চায়ের কাপের ভিতরে।লাফ দিয়া ঘুম থেকে ওঠলাম।দেখি ফারিয়া এসব কাজ করছে....
-এটা কি করছ.?
-অনেকক্ষণ সময় নিয়ে ডাকতেছি তুমি ওঠ না। তাই এই পদ্বতি...যাও ফ্রেশ হয়ে খেতে আস?
-আচ্ছ..
.
ফ্রেশ হচ্ছি আর ভাবতেছি।সালা এটা মাইয়া নাকি আর কিছু। কি দজ্জাল। আর আমি কিনা এই মেয়েরে ভালোবাসি..।ফ্রে
-কিরে কই তুই?
- বাসাত।
- দোস্ত তারাতারি আয়?
-কোথায়?
-পার্কে।
-কেন?
-দোস্ত আমি ওরে ছাড়া বাছব না। প্লিজ তুই ঠিক করে দিয়ে যা?
-আচ্ছা ওয়েট কর আসতাছি ...
.
ওদের কাছে গেলাম।মেয়েটাকে বুজালাম।পরে মেয়েটা বুজল।আর তারা মার্কেটে যাবে।সাথে আমাকেও নিল।ওরা মাকেট করল।রাফি বিলটা দিতে গেল।আমি আর ও দাড়িয়ে আছি।একটু হাসাহাসি করতেছি।তখন দেখলাম ফারিয়া আমাদের দেখে ফেলছে।আর কান্না করে মার্কেট থেকে চলে গেল।তর মানে ও আামকে ভালোবাসে। তাই অন্য মেয়েদের সাথে আমাকে দেখতে পারে না?রাফি আসল...আমি বিদায় নিয়া বাসায় আসলাম।আইসা একটা ঘুম দিলাম।রাতে খাবার খাই নাই।ভালো লাগতেছে না।ছাদে বসে আছি।হঠাৎ করে ফারিয়া এসে আমকে জড়িয়ে ধরল।আমি ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললাম...
-কি ব্যাপার জড়িয়ে ধরলা কেন?
-আমি তোমাকে ভালোবাসি তাই..
-হাহা ভালোবাসো তাই না। এসব তোমার নাটক...
-যদি নাটক হতো তাহলে কি আর সবসময় খোজ খবর নিতাম?
-ওহহ তায়।
-হুম..
-কিন্তু আমি তো ভালোবাসতে পারব না(যদিও এখনো ভালোবাসি)
-ভালোবাসতে পারবা না। ওকে ওয়েট।
-কেন?
.
একটা ছুড়ি বের করল।দিল হাতে একটা টান। রক্ত বের হতে লাগল।আমি একটা চর দিয়ে বললাম....
-পাগল হলে নাকি?কি করতাছো?
-হুম তোমার জন্য পাগল হইছি।তুৃমি যখন আমার হবে না এই জিবন রেখে লাভ নাই।
-কে বললো আমি তোমার হব না?
- তুমি না বললা তুৃমি ভালোবাসবা না?
-এমনি বলছি.
.
ওর হাতটা ব্যান্ডেজ করে দিলাম....। চলে গেলাম ঘুমাতে।সকাল বেলায় ওঠে দেখি বাড়িটা সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে।নানু কে বললাম..
-নানু আজকে বাসায় কি কোনো অনুষ্ঠান?
-হুম..
-কিসের?
-তোর বিয়া..?
-আমার বিয়া!!!!!!কার সাথে.?
-ফারিয়ার সাথে..
-আমি এ বিয়া করতে পারব না(যদিও মনে লাড্ডু ফুটতাছে একটু ভাব নিলাম)
-যদি বিয়া না করিস আমার মরা মুখ দেখবি...
-আচ্ছা আমি রাজি...
.
একটু সামনে এগুতেই দেখি আমার হারামি বন্ধু গুলাও চলে আসছে।ওখানে আব্বু আম্মুও আছে।সবাই মুচকি মুচকি হাসে।বন্ধুদের কাছে গেলাম.....
-কিরে তোরা কখন আসলি..
-একলা একলা বিয়া করতে আইয়া পরছ।একবার তো বলও নাই..
-আরে দুস্ত কিযে বলিস।আমার বিয়া আমিই আজকে জানলাম....
.
তাদের সাথে অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম...।পরে আর কি বিয়া পরানোর সময় ঘনিয়ে এল।বিয়া পরানো শেষ।(বিয়া করি নাই তাই বলতে পারলাম না)
রাতে ছাদে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতাছি।বন্ধুরা বলল যা মামু বাসর করতে যাও?ওকে যাইতাছি।আচ্ছা বিড়ালটা মাইর?ওকে।চলে আসলাম রুমের সামনে।রুমে ডুকতে কেমন জানি লাগতাছে।তবুও ডুকে গেলাম।বউ আইসা সালাম করল..
-বেছে থাক মা
-কি বললা?
-না মানে সিনেমায় দেখছি তো তাই বললাম..
-কি!!!!!
.
একটা ধাক্কা দিয়া বিছানায় ফেলে দিল..।বুকের উপর বসে আমাকে মারতে লাগল...।একটু পরে বললাম....
-আসো ছাদে যাই?
-না যাবো না মুখ ফুলিয়ে..
-কোলো তুলে ছাদে নিয়ে গেলাম...
.
ওর কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি।গল্প করতে লাগলাম।একটু পরে বললাম...
-বউ একটা দিবা?
-কি দিব?
-ওই যে দেয় না?
-কি দেয়?
-তোমার ঠৌঠের মিষ্টি..বলতেই ওর ঠৌঠ আমার ঠৌঠ এক হয়ে গেল।।হিহিহি
.
.
.
The End
No comments:
Post a Comment