Bangla story, Bangla golpo, love Story, thriller story, facebook story, facebook post

সিনীয়র আপু যখন বউ- ৫ লেখকঃ স্বপ্নীল সাহেব কাজী






ওইদিন আমি আর আনিকা খুব খুশি মনেই বাসায় চলে আসলাম৷ভালই লাগছে মাথা থেকে এমন একটা আপদ দূর হইছে বলে৷
রাতে অনেক দেড়ি করে ঘুমালাম৷আজকে আর কেউ প্যারা দিচ্ছে না৷কেউ বলছে না,"""ওই এক্ষনি ঘুমাবা,যদি দেড়ি করে ঘুমাও তাহলে শরির খারাপ করবে,আর দেড়ি করে ঘুমালে কিন্তু মাইর একটাও মাটিতে পরবেনা"""
.
আহ কি আরাম? ফোন টিপতে টিপতে অনেক রাতেই ঘুমালাম৷সকাল বেলা ঘূম থেকে উঠতে অনেক দেড়ি হয়ে গেল৷তাড়াতাড়ি ফোন হাতে নিলাম৷কারন নিলা আপূর মেসেজের উত্তর দিতে দেড়ি হলে আবার মাইর খেতে হবে৷
.
তাই তাড়াতাড়ি ভয়ে ভয়ে
ফোনটা হাতে নিলাম৷হাতে নিয়ে যখনই ফোনের দিকে তাকালাম দেখলাম,কোনো মেসেজই আসেনি৷
তখনই মনে পড়ল,""আরে কাল না ওকে নিষেধ করছিলাম,আমাকে মেসেজ ফোন,এগুলো না দিয়ে যেন বিরক্ত না করে?
যাক বাবা ,আজকে দেখা গেল মেসেজ দেইনি৷
ভালই হলো,প্যারা থেকে তো বাঁচলাম৷
সকালে আর খেতে ইচ্ছে করল না৷ওই মেয়েটার জন্য প্রতিদিন সকালে খেয়েও মেসেজ দিতে হয়৷আর আজকে আমি স্বাধীন৷
.
দুপুরের দিকে আনিকার সাথে অনেকক্ষন মজা করলাম৷নিলা আপুকে নিয়ে অনেক হাসাহাসি করলাম৷মেয়েটা কত বড় পাগল?পাগল যদি না
হতো তাহলে কি নিজের থেকেও ছোট ছেলেকে ভালোবাসে নাকি?আর ওই মেয়ে দেখতেও কত সুন্দর,আর কত বড় লোক,আর কেমন পাগলের মত আমার পিছে ঘূরে৷যাক এখন থেকে তো ওর ঘুরা বন্ধ৷
.
২টা দিন কেটে গেল৷
কিন্তু এখন আর নিলা আপুর মেসেজ একেবারেই আসেনা৷আর আনিকা,বাবা মা সবাই গ্রামে চলে গেল৷
আমি আবারও আমার মত করে কলেজে যাওয়া শুরু করলাম৷
.
কলেজে যেতেই হঠাৎই নিলা আপুর ডাক
শুনতে পেলাম৷আর নিলা আপু প্রতিদিন যেখানে আমার জন্য অপেক্ষা করত৷আমি সেখানেই তাকালাম৷
কিন্তু ওনাকে আর দেখলাম না৷
তাহলে কে ডাক দিল আমায়?
তখনই বুঝতে পারলাম,হয়ত এটা আমার মনের ভুল৷
প্রতিদিন কলেজে আসলে নিলা আপু ডাক দেয় তো,তাই হয়ত কেমন অভ্যাস হয়ে গেছে৷তাই হয়ত এমন শুনতে পাইছি৷.
.
কলেজে গেলাম৷ক্লাস শেষ করে বাসায় আসব ঠিক তখনই মনে হলো নিলা আপু ডাক দিয়ে বলছে
,
--এই তন্ময়,আজকে কিন্তু দুজনে একসাথে অনেকক্ষন ঘুরবো,আর দুজনে অনেকগুলো ফুসকা খাবো.আর দেখবো কে বেশি খেতে পারে
,
পিছনে তাকালাম কিন্তু নিলা আপুকে দেখতেই পেলাম না৷
তখনই মাথায় একটা আস্তে করে থাপ্পর মারলাম৷
নিজেকেই নিজে বলতে লাগলাম,"""আরে বোকা তন্ময়,তুই কেন ওর কথা ভাবছিস?ও তো তোকে আর বিরক্ত করবে না,আর ও তো আর তোর সামনেই আসবে না৷তাহলে তোকে নিয়ে ফুসকা খেতে যাবে কেন?
.
তখন আস্তে আস্তে বাসার দিকে হাটতে লাগলাম৷কিন্তু কেন জানি মনটা পড়ে আছে কলেজের সেই জায়টায়
যেখানে নিলা আপু আমার জন্য অপেক্ষা করত৷
বাসায় আসলাম৷চুপচাপ শুয়ে আছি৷আর বার বারই নিলা আপুর মুখটা কল্পনায় ভেসে আসছিল৷
ভাবতে ভাবতে যে কখন ঘুমীয়েই পড়লাম বুঝতেই পারলাম না৷
.
হঠাৎই দেখলাম নিলা আপু আমাকে ডাকছে আর হঠাৎই খুব কান্না করছে!ওনাকে কান্না করতে দেখে কেন জানি খুব খারাপ লাগছিল,
ওনার সামনে গায়ে জিজ্ঞাসা করলাম.
.
--এই যে নিলা আপু,আপনি কান্না করছেন কেন?
.
--চুপ(কথা বলছে না শুধু কান্নাই করছে)
.
--কি হলো,কান্না করছেন কেন?
.
--তন্ময়,আমি না তোকে ছাড়া থাকতে পারব না রে৷খুব কষ্ট হচ্ছে আমার,নিঃশ্বাস নিতেও অসহ্য কষ্ট লাগে,দম বন্ধ হয়ে আসে রে৷প্লীজ আমাকে না ছেড়ে কোথাও যাস না,মরে যাবো আমি,খুব ভালোবাসি রে তোকে খূব ভালোবাসি....(বল

েই অনেক জোড়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করতে লাগল)
,
ওনার কান্নার শব্দে আমি চিৎকার মেরে বললাম ,
আমাকে বিরক্ত করবেন না৷আমি আপনাকে বিরক্ত ফিল করি.
.
চিৎকার করেই লাফ দিয়ে উঠলাম আর তখনই দেখলাম ,আমি রুমে শুয়ে আছি৷তখন বুঝতে পারলাম আমি এতক্ষন স্বপ্ন দেখছি৷আর ঘুম থেকে জাগার পরই শুধু নিলা আপুর ওই কান্নারত মূখ খানাই ভেসে আসছে৷শুধু বার বারই নিলা আপুর কান্নারত কন্ঠের কথাটা মনে পড়ছে,
""তন্ময় আমাকে ছেড়ে কোথাও যাসনে,খুব ভালোবাসি রে তোরে৷খুব ভালোবাসি""
.
অনেক চেষ্টা করতে লাগলাম এগূলো ভুলার জন্য কিন্তু কিছুতেই ওনার কথাগুলো ভুলতে পারছিলাম না৷খূব মনে পরছিল ওনাকে৷৩-৪টা দিন কেটে গেছে অথচ এখন আর কেউ শাষন করার জন্য মেসেজ বা ফোন দেয় না৷
ওর মেসেজগুলোর কথাও ভাবছিলাম৷আর ভাবছিলাম
ইসস এখন যদি একটা মেসেজ দিয়ে বলত,এই ছেলে তুমি দুপুরে না খেয়ে কেন ঘুমাইছো?এমন করলে কিন্তু একটা মাইরও মাটিতে পরবে না৷
.
এগুলো ভাবছিলাম ঠিক তখন নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছিল৷যেন চোখের রাজ্যে অনেক মেঘ করেছে৷আর আপনা আপনি সেগূলো বর্ষন হচ্ছে৷
ঠিক তখনই ফোনের মেসেজ টোন টা বেজে উঠল৷
ফোনটা খুশিতে তাড়াতাড়ি হাতে নিলাম৷কিন্তু ফোন হাতে নিয়ে নিরাশ হয়ে গেলাম৷কারন মেসজটা ভেবেছিলাম নিলা করেছে কিন্তু মেসেজটা আসলে ওহ না,জিপি সিমের অফিস থেকে মেসেজটা আসছে৷
.
সেদিন বিকেল বেলা অনেক কষ্টে ওকে ভূলে থাকলেও
রাতের বেলা কোনোভাবেই আর থাকতে পারিনি৷
খুব মনে পড়ছিল,খুব মিস করছিলাম ওকে৷
যত একা থাকছি ততই তাকে খুব মনে পড়ছে৷
নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারলাম না৷
নিলা আপুকে আমার ফোন দিতেই হবে৷
তাই তখনি ওনাকে ফোন দিলাম৷কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো তখন ফোন বন্ধ৷
.
অনেক বার ফোন দিলাম কিন্তু বার বারই একটা শব্দই আসছে,
""এই মূহুর্তে আপনার কাঙ্খিত নাম্বারে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না............
.
বার বার এই একই শব্দ শুনে হেব্বি রাগ উঠে গেল৷
কোনোভাবেই ফোন অন পেলাম না৷
রাতের বেলা নিরাশ হয়ে যখন না খেয়েই চুপ করে ঘুমিয়ে পরলাম৷
.
হঠাৎই কারও হাত আমার কপালে স্পর্শ করল৷
আমি মাথা তুলতেই দেখলাম নিলা আপু৷তখন নিলা আপু বলতে লাগল
.
--এই পাগল,তুমি না খেয়ে ঘুমিয়ে আছো কেন?তোমাকে না বলছি কখনও না খেয়ে ঘুমাবে না?তুমি কি জানোনা?তুমি না খেয়ে থাকলে আমার খুব কষ্ট হয়?
,
--আচ্ছা নিলা আপু,তুমী কি সত্যিই আমাকে অনেক ভালোবাসো?
.
--হুম রে পাগল,তোমাকে অনেক ভালোবাসি
.
--আচ্ছা তুমি তো আমার অনেক বড়,তাহলেও কি ভালোবাসা যায়?
.
--কেন যায় না?আমাদের নবি (স) ও কিন্তু ওনার থেকে বড় নারীকে বিয়ে করেছিল৷আর আমি তো তোমার থেকে বেশি বড় না৷তুমি কি পারবে না আমাকে বিয়ে করতে
.
--হুম পারবো৷কিন্তু আমাকে কিন্তু তাহলে অনেক ভালোবাসতে হবে
.
--আমি আমার পাগলটাকে অনেক ভালবাসি,অনেক বেশিই ভালোবাসি
.
বলেই নিলা আপু আমাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরল৷আর আমি তখন কেমন কেপে উঠলাম৷
আর একটু পরই হঠাৎই নিলা আপু কান্না করতে লাগল আর আমাকে ছেড়ে চলে যেতে লাগল.
--এই নিলা আপু,তুমি কান্না করছো কেন?আর আমার থেকে কেন দূরে সরে যাচ্ছো
.
--তন্ময়,তুমী নিজেই তো আমাকে সহ্য করতে পারোনা৷আমার সব কিছুই তোমার বিরক্তের কারন,আর আমি না তোমাকে বিরক্ত করে থাকতে পারব না,
ভালো থেকো, অনেক ভালো থেকো,খুব ভালোবাসি তোমাকে,তাই তোমাকে বিরক্ত করতে চাই না
.
বলেই নিলা আপু কান্না করতে করতে দূরে কোথাও হারিয়ে গেল৷আমি তখন চিৎকার করে কান্না করতে করতে নিলাকে ডাকছিলাম৷কিন্তু আমার কোনো কথাই শুনল না৷
ওনি চলে যাবার সময় খুব কষ্ট হচ্ছিলো৷বুকের ভিতর কেমন এক প্রকার ব্যাথা অনূভব করতে লাগলাম৷
একটা সময় জোড়ে একটা চিৎকার দিয়ে নিলা বলে ডাক দিলাম৷
.
আর তখনই খেয়াল করলাম আমি ঘূম থেকে জেগে গেছি?তারমানে এতক্ষন স্বপ্নই দেখছিলাম৷
কিন্তু স্বপ্নটা ভাঙার পর নিলা আপুর জন্য যে বুকটা এত খা খা করবে বুঝতেই পারছিলাম না৷
শুধু নিলা আপুর কথাই মনে পরছে৷আর ভাবতে লাগলাম এটা আমি কি করলাম?
.
ওর মত একটা মেয়েকে আমি এভাবে কষ্ট দিলাম?
একটা মেয়ে আমাকে কতটা ভালোবাসত আর আমি কিনা তাকে এতটা অবহেলা করতাম৷
মাত্র কয়েকটা দিনেই বুঝে গেলাম,আমার পৃথিবী জুড়ে নিলার জন্য কতটা জায়গা জুড়ে আছে৷
আসলে একটা কথাই সত্যি,দাত থাকতে যেমন মানুষ দাতের মর্মতা বুঝে না,ঠিক আপন মানুষ কাছে থাকলে,তার মর্মতা মানুষ ততক্ষন বুঝেনা ,যতক্ষন না পর্যন্ত সে দূরে কোথাও হারিয়ে যায়৷
রাতে আর কোনোভাবেই ঘুমাতে পারছিলাম না৷
বার বার ফোন দিচ্ছিলাম৷কিন্তু ফোন বন্ধ৷
.
তখন চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করছিল ,"নিলা,প্লীজ তুমি ফোনটা অন করো,তোমার শাষন গুলো বড্ড বেশিই মিস করছি,প্লীজ তুমি সব কিছু ভূলে ফিরে এসো৷
.
সে রাতে আর কোনোভাবেই ঘুমাতে পারলাম না৷অনেক কান্না করেছিলাম৷কীন্তু তারপরও বুকের কষ্ট একটুও কমছে না৷চোখের পানিগূলো আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে কাউকে অবহেলা করার যন্ত্রনা কতটা কষ্টের?
এভাবে আরও ২-৩দিন কেটে গেল৷
যত সময় যাচ্ছে ততই আমার বুকে শুধূ নিলার জন্য খা খা করছে৷
কোনোভাবেই নিজেকে ঠিক রাখতে পারছিলাম না৷
আমি বুঝতে পারলাম ওকে ছাড়া আমি ভালোভাবে থাকতে পারব না৷যেভাবেই হোক ওকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতেই হবে৷তাই আর দেড়ি না করেই
ওইদিন সকাল বেলাই বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম৷
ওদের বাসার কাছে গেলাম৷
কিন্তু বাসার ভিতরে যাবার সাহস পেলাম না৷
তাই বাসার বাইরেই দাড়িয়ে রইলাম৷আর উকি দিতে মারতে লাগলাম নিলাকে দেখা যায় কিনা৷
সকাল ঘড়িয়ে দুপুর,দুপুর ঘড়িয়ে বিকেল হয়ে গেল কিন্তু ওর কোনো দেখাই মিলছে না৷আর এই দিকে বুকটা কেমন খা খা করছে৷ওর সাথে যেভাবেই হোক দেখা করতেই হবে৷
ওইদিন একবার মনে হয় জানালার কাছে ও এসেছিল৷আমি ডাক দিয়েছিলাম৷হয়ত ও শুনেছে ,হয়তবা শুনেই নি৷আমার ডাক হয়ত ওর কান অব্দি পৌছাইনি৷
সন্ধার দিকে ওর বড় ভাইয়া আমাকে ওর বাসার সামনে দেখে ফেলে,আর দেখেই জিজ্ঞাসা করল
,
--এই ছেলে,এই দিকে কি?আর এমন উকি মারছো কেন?
.
--আসলে ভাইয়া,নিলা আপুর সাথে একটু কথা ছিল
.
--নিলা আপু কারও সাথে কথা বলবে না৷তুমি চলে যাও ,আর হ্যা আমাদের বাসার আশেপাশে ছেলে দেখলে,তাদের অবস্থা অনেক খারাপ করে ফেলি,তুমি ছোট ,তাই তোমাকে কিছু বললাম না৷কিন্তু নেক্সট টাইম যেন আর না দেখি৷দেখলে কিন্তু অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যাবে......(একটু রেগেই)
.
জানিনা কেন ওর ভাইয়ারা এমন?আমার সাথে কেন এভাবে কথা বলেছে?কিন্তু আমি তখন শুধু মাথা নেড়ে হ্যা সম্মতি জানালাম৷
ওইদিন বাসায় এসে পরলাম৷কিন্তু রাতে কোনোভাবেই ঘূম আসছিল না৷কেন জানি মনে হচ্ছে নিলাও খুব কষ্টে আছে,আর আমাকে তার কাছে যেভাবেই হোক যেতে হবে৷
তাই আমি আবারও রাতের বেলাই ওদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম৷কয়েকদিন ধরেই তেমন খাওয়া দাওয়া নেই,তাই শরিরটাও প্রচুর দুর্বল লাগছে৷ প্রায় ২০মিনিট হাটার পর ওদের বাসার সামনে গেলাম৷বাসার গেইট তখন বন্ধ৷কিন্তু আমাকে তো ওর সাথে দেখা করতেই হবে৷
.
রাত আনুমানিক তখন ২টা
,
জানিনা কোথা থেকে এত সাহস পাচ্ছিলাম,যেই ছেলেটা সামান্য কুকুরের ভয়েও রাতের বেলা বাসা থেকে বের হইনা৷আর সেই ছেলেটা আজ এত রাতে আরেকজনের বাসায় চোরের মত ডুকছে৷আসলে আমিও বুঝতে পারলাম নিলাকে আমিও খুব ভালোবেযে ফেলছি৷ওর শূন্যতা আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে,ভালোবাসা মানে কি?
যাই হোক অনেক সাহসের আর ভালবাসার বলেই
আমি এত রাতে ওদের বাসায় চলে গেলাম৷
বাসার পিছনের দেয়াল টপকে, পাইপ দিয়ে ওপরে ওঠা শুরু করলাম৷অনেক কষ্ট হচ্ছিলো উপরে উঠতে৷প্রায় অনেক উচুতে উঠে গেলাম৷এখান থেকে পড়লে আমি শেষ হয়ে যাবো,তারপরও নিজের কথা একবারও মনে পরছেনা৷শুধু মাথায় একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে নিলার সাথে আমাকে দেখা করতেই হবে,.......
আস্তে আস্তে ৪তালায় উঠে পরলাম৷আর তখনি নিলা আপুর বেলকনি দিয়ে ওর রুমের জানালার সামনে চলে গেলাম৷আর জানালা টা খোলাই ছিল৷আর জানালা দিয়ে তাকানোর পর যা দেখতে পেলাম ,তা দেখার জন্য আমি মুটেও প্রস্তুত ছিলাম না,
একদমই অবাক হয়ে গেলাম,বুকটা তখন ধুক ধুক করছিল৷আর শরীরটা প্রচুর পরিমানে কাপতে লাগল.
নিজের শরীরটা একদম নিথর হয়ে আসছিল.....
.
.
.
.
.
চলবে...............