Bangla story, Bangla golpo, love Story, thriller story, facebook story, facebook post

ম্যাডাম যখন বউ ।। স্বপ্নীল সাহেব কাজী

 













সকালবেলায় ঘুমিয়ে আছি।আর একটা রোমান্টিক স্বপ্ন দেখতেছি। স্বপ্নের মধ্য একটা সিনিয়র মেয়ের হাত ধরে হাটতেছি। সামনে একটা ফুসকার দোকান পেলাম।মেয়েটা ফুসকা খাওয়ার বায়না ধরল।তাকে নিয়া ফুসকার দোকানে গেলাম। মেয়েটা ফুসকাওয়ালা কে বলল বেশি ঝাল দিয়ে ফুসকা বানাতে।লোকটা তাই করল।মেয়েটা ি প্রায় সব ফুসকা খেয়ে ফেলছে। শেষে একটা ছিল ওইটা,আমাকে দিল।ফুসকটা খেয়ে আমার অনেক বেশি ঝালে ধরছে।আর ফুসকাওয়ালার কাছে পানি নায়।উপায় না পেয়ে মেয়েটা যখন তার ঠৌঠগুলো আমার ঠৌঠে লাগাতে যাবে.........তখন আম্মুর ডাক...........
-এই আলভী ওঠ?
-যাও তো এখন একটা স্বপ্ন দেখতেছি....
-কি বললি?কালকে না বললি আজকে ভার্সিটি যাবি? -হুম যাব।তুমি এখন যাও?
.
দূর আবার চোখটা বুজলাম।কিন্তু মেয়েটাকে আর দেখতে পারলাম না।মেয়েটা অনেক মায়াবি। প্রায়ই মেয়েটা আমার স্বপ্নে আসে।
.
পাঁচ মিনিট পর.. কে জানি শরীরে পানি ঢেলে দিল......
-এই কেডারে?
-আমি(আম্মু)
-পানি দিছ কেন?
-আগে ডাকছি উঠিস নাই তাই...। যা ফ্রেশ হয়ে খেয়ে ভার্সিটি যা...?
-আচ্ছা....
.
বেড থেকে ওঠে ওয়াশরুমে গেলাম।।ফ্রেশ হয়ে আসলাম।রেডি হয়ে খাবার টেবিলে গেলাম। ব্রেকফাস্টটা সেরে ভার্সিটি যাওয়ার জন্য বাহিরে বের হয়ে আসলাম.।রিকশা জন্য দাড়ায়া আছি।একটু দাড়ানোর পর একটা রিকশা এল.....
-মামা ভার্সিটি দিকে যাবা?
-হ মামা যামু। ওঠেন?
-আচ্ছা....
.
আনমনে বসে আছি।আজকে কতদিন পর ভার্সিটি যাচ্ছি। ভার্সিটি বেশি যাই না। কারন প্রিন্সিপাল আব্বুর বন্ধু।না গেলেও প্রবলেম হয়না।ভার্সিটি সামনে চলে আসছি। রিকশা থেকে নেমে বাড়া মিটিয়ে ভার্সিটিতে ডুকলাম।হঠাৎ করে একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খেলাম। মেয়েটা আমার উপড়ে এসে পড়ল।আমি মেয়েটার নিছে।আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি..মেয়েটা আমার দিকে।মেয়েটা একবারে সেই স্বপ্বের মেয়েটার মত।.
.
মেয়েটা আমার উপর থেকে ওঠল....আর বলতে লাগল.....
-দেখে শুনে চলতে পার না?
-ওয়াও বিউটিফুল। আমি আপনার প্রেমে পড়ে গেছি....
-আরে পাগল নাকি কি বলে এগুলা.....
-হুম আমি আপনার জন্য পাগল.....
-এসব পাগলের সাথে কথা বলে লাভ নাই.....
.
মেয়েটা চলে গেল।আমি তো মহাখুশি। কারন আমি আমার ভালোবাসার মানুষ পেয়ে গেছি।গেলাম বন্ধুদের কাছে....
-কি অবস্থা?
-ভালো। তোর?
-ভালো না.....
-কেন?
-আমি একটা মাইয়ার প্রেমে পড়ে গেছি....
-মাইয়াটা কে?
-আমাদের ভার্সিটি আগে কখনো দেখিনি।আবার পাইলে তোদের দেখাব.?
-আচ্ছা..
.
তাদের সাথে কতক্ষন আড্ডা দিলাম।একটু পরে ক্লাস শুরু হয়ে গেল ক্লাস করতে গেলাম।ক্লাসে যখন মেডাম আসল চোখ কপালে।কারন একটু আগে যেই মেয়েটার সাথে ধাক্কা খাইছি।সেটা মেডাম।বন্ধুদের বললাম....
-এই মেয়ের প্রেমে পড়ছি?
-ভার্সিটিতে পড়ার ইচ্ছা আছে নাকি চলে গেছে?
-কেনরে?
-এটা আমাদের প্রিনসিপালের মেয়ে....
-নাম কিরে?(আংকেলের মেয়ে আছে এটা জানতাম কিন্তু ও তো বিদেশে থাকত)
-রাখি
-ওহহ
.
একটু পরে মেডাম আমার কাছে আসলেন। ভয়ে আমি শেষ একটু আগে জা করসি।আল্লাহ বাচাও মনে মনে বলতাছি। মেডাম কাছে এসে বললেন.....
-নাম কি?
-আলভী...
-ভার্সিটিতে বেশি আসনা মনে হয়?
-জ্বি
-এখন থেকে আসবা...
-আপনি না বললেও আসব..
-মানে???
-কিছুনা...
.
যা ভাবছিলাম কিছুই করেনি যাক বাবা বাছা গেল মেডাম পড়ানো শুরু করল।মেডাম পড়াচ্ছে। আর আমি অপলক দৃস্টিতে চেয়ে আছি।মেডাম জিনিসটা খেয়াল করছে।নিজেকে কেমন আনইজি ফিল করতাছে..।তখন আমাকে বলল....
-আলভী দাড়াও?
-জ্বি?
-এতক্ষণ কি বলছি বলো?
-মনে নাই...
-এদিক সেদিক নজর না দিয়ে পড়ালেখায় মনোযোগ দাও।
-জ্বি(লজ্জা পেয়ে)
-বস...।
.
আবার মেডাম পড়াতে লাগল। আমার নজর মেডাম এর দিকে।মেডাম ক্লাসটা শেষ করল।আমিও ক্লাস শেষে করে মেডাম এর পিছন পিছন আসলাম।মেডামকে বললাম.........
-আপু আপনার নাম্বারটা দেন?
-ওই আমি তোমার আপু না মেডাম..।আর আপু কেমনে লাগি?
-ছোটবেলায় আলভীর সাথে যে জামাই বউ খেলতেন ওরে চিনেন?
-হুম। আলভী এখন কই আছে?
-আমিই সেই আলভী....
-ওহহহ।তুমি তো লুচু হয়ে গেছ?
-কেন আপু?
-সকালে কি করছো? চেনা নেই জানা নেই আমাকে প্রপোজ করে দিলা.......
-না ইয়ে মানে (লজ্জা পেয়ে)
-হইছে আর নেকামো করতে হবে না....
-আপু নাম্বারটা দেন?
-নাম্বার দিয়া কি করবা?
-পড়তে অসুবিধা হলে কল দিব....
-নেও0178098****
-থ্যাংকু...
-ওয়েলকাম...
-আপু রাতে কল দিব এখন তাহলে আসি?
-আচ্ছা
.
ভার্সিটি থেকে বাসায় চলে আসলাম।এসে ফ্রেশ হলাম।একটা মুভি ছিল সেটা দেখলে লাগলাম।দুপুর হয়ে গেল।ওয়াশরুমে ডুকলাম গোসল করলাম। দুপুরের খাবার খেলাম..খেয়ে রুমে এসে একটা ঘুম দিলাম। বিকেল বেলায় ওঠলাম। বাসায় ভালো লাগছে না।একটু নদীর পাড় থেকে ঘুরে আসি।চলে গেলাম নদীর পাড়ে। নদীর পানি সুন্দর ভাবে প্রবাহিত হচ্ছে হয় এটা দেখতেছি কতক্ষন পরেই সন্ধা হয়ে গেল।হালকা খাবার খেয়ে পড়তে বসলাম..।পড়তে পড়তে ১০ টা বেজে গেল।আম্মু রাতের খাবার খাওয়ার জন্য,ডাকতেছে।যাই খেয়ে আসি।খাওয়া শেষ করে আসলাম।শুয়ে আছি।ভাবলাম রাখিরে একটা কল দেই যেই ভাবা সেই কাজ। কিন্তু কেমন জানি লাগতেছে তবুও দিলাম একটা কল........
-হ্যালো?(তুতলিয়ে)
-হুম কি জন্য কল দিছ?
-না ইয়ে মানে....
-এরকম তুতলাচ্ছ কেন...যা বলার বলে ফেল?
-রাতে খাইছেন?
-হুম তুমি?
-হুম.
.
এভাবে দুই মিনিট কথা বলে রেখে দিলাম....।পরে ঘুমিয়ে গেলাম.।সকালবেলায় ওঠলাম ভার্সিটিতে গেলাম।আর একটাই কাজ রাখিকে দেখা।ক্লাসের মধ্য পড়ায় মনযোগ না দিয়া শুধু রাখিকে দেখি।এর জন্য অনেক কথাও বলে।কে শুনে কার কথা।আবার প্রত্যকদিন বিকালে তার বাসার সামনে ঘুরঘুর করি।রাতে কল দিয়ে নানা অযুহাত দিয়া কথা বলি।এভাবে চলে গেল কয়েকটা মাস।এর ভিতরে রাখিকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছি।
.
একদিন ভাবলাম ওরে আজকে প্রপোজ করব।ওইদিন প্রপোজ করলাম।আর রাখি তার বিয়ার কার্ড হাতে ধরায়া দিল....বলল........
-আমার বিয়াতে না আসলে অনেক কষ্ট পাব....
-আচ্ছা আসব।
.
ভালোবাসার মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না তাই রাজি হয়ে গেলাম।বিয়ার দিন ঘনিয়ে আসল।এর ভিতরে অনেক কান্না করসি।পুরো ফ্যামিলি নিয়া বিয়া বাড়িতে গেলাম।আংকেল আমাদের দেখে অনেক খুশি।কারন এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে পাইছে।দুর এখানে ভালো লাগছে না। যাই বউ বেশে রাখি বসে আছে তাকে দেখে আসি।তার কাছে গেলাম। আর কয়েকটা সেলফি নিয়ে আসলাম।একটু মন খারাপ হলো।পরে বিয়া বাড়ির আটার বস্তা গুলাকে দেখে হালকা হলো। একটাকে পটাতে যাব তখন.....আব্বু এসে যা বলল.....আর.......গল্পের মোড় এভাবে পাল্টে যাবে ভাবিনি............
To See orginal post click here


No comments:

Post a Comment