Bangla story, Bangla golpo, love Story, thriller story, facebook story, facebook post

সিনীয়র আপু যখন বউ ১০ লেখকঃ স্বপ্নীল সাহেব কাজী

--এই তুমি এখনও কি কান্না করবা নাকি?(আমি)
.
--তুমি নিজেও তো কান্না করছো(নিলা)
.
--কই আমি কান্না করছি না তো,
,
-আমি দেখতেই পাচ্ছি,কান্না করছো কিনা?
.
--ওপপপস বাসর রাত ফুরাইয়া যাইতেছি,আর এখনও কিছুই হলো না
.
কথাটা বলার পরই নিলা কেমন লজ্জা পেয়ে গেল৷আর আমি তখন নিলাকে বললাম
,
--এই একটু দাড়াও
.
--কেন?
.
--একটু দাড়াও
.
বলেই নিলাকে নিজের কাছ থেকে ছূটালাম৷আর আস্তে করে গিয়ে ঘরের জানালাটা খুলে দিলাম৷
জানালাটা খুলতেই পুরো ঘরটা চাঁদের আলোতে ভরে গেল৷তখন মনে হচ্ছিলো চাদের আলো আমাদের বাসরঘরে খুশিতে নাচানাচি করছে৷
আর হঠাৎই খেয়াল করলাম,নিলার কান্নামাখা মূখে চাঁদের আলো পড়তেই ওর চোখের পানি কেমন ঝিকমিক করছে,
.
আর নিলাকে কেমন অদ্ভুদ ভালো লাগতে লাগল,সেটা হয়ত আমার পক্ষে লিখে প্রকাশ করার মত না৷একদম মায়া পরী৷নিলাকে ডাক দিলাম
.
--এই যে ম্যাম,এখনও দুরেই থাকবেন?নাকি একটু কাছে আসবেন?
.
নিলা মাথা নাড়ালো৷আর আমার কাছে আসল৷
আমি নিলাকে বললাম
.
--একটা কথা বলব?
,
--হুম
,
--তুমি জানালার পাশে,খাটে বসো
.
--কেন?
.
--আহ ,যেটা বলছি সেটা করো,
,
--হুম
.
নিলা জানালার পাশে বসতেই ওর ওপর চাঁদের আলো পড়তে লাগল৷চাঁদের আলোতে যেন ও স্নান করছে৷
একদম মায়াপরী৷ ওর দিকে যতই তাকাচ্ছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি৷
আমি তখন নিলাকে বললাম
.
--এই,তোমার কোলে আমাকে একটু মাথা রেখে শুতে দিবা?(আমি)
.
হঠাৎই আমার এমন প্রশ্ন শুনে নিলা কেমন অবাক হয় গেল৷আর অবাক কন্ঠেই বলে উঠল
,
--আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকতে তোমার ভালো লাগবে?
.
--হূম৷খুব ভালো লাগবে
.
--তাহলে আসো
.
তারপরই নিলার কাছে গিয়ে ওর কোলে শুয়ে পড়লাম৷
আর ও তখন আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল৷
তখন খুব ভালো লাগছিল৷নিলা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল আর আমি অপলক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকায়ে আছি৷অনেকক্ষন পর নিলা বলে উঠল
,
--এই পাগল এভাবে কি দেখছো?
,
--আমার সিনীয়র আপুকে(একটূ রাগানোর জন্যই)
,
--ওই কি বললা?আমি তোমার আপু?আমি তোমার কোন জন্মের আপু?
.
--সেটা তো জানিনা
.
--যাও ,তোমার সাথে কথাই নাই
,
বলেই অন্যদিকে তাকিয়ে রইল৷
.
--এই যে কান ধরছি,আর বলব না
.
--কথা বলছে না(চূপ করে আছে)
.
--কি হলো?কানে ধরছি তো,আর বলব না
.
--তোমার যত খূশি বলো,আমি তোমাকে আর নিষেধ করব না
,
বুঝতে পারলম মেয়েটা অভিমান করছে৷কি করা যায়?
.
--এই নিলা,প্লীজ এমন করো না,কষ্ট লাগে তো
.
--না,কষ্ট লাগবে কেন?আরও বেশি করে আপু বলো
.
--কষ্ট তো লাগবেই,ভালোবাসি তো
.
-(চূপ)
,
--এই ,ভালোবাসি তো,অনেক বেশিই ভালোবাসি,
,
--আর বলবা না তো?
.
--না
.
--এবার তাহলে ঘুমাও,একদম কথা বলবে না
আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি
,
--আমি একা ঘুমাবো,আর তুমী কি করবা?
.
--আমি তোমাকে পাহারা দিব
,
--পাহারা দেওয়া লাগবে না৷তুমিও ঘুমাও৷এমনিতেই অনেক রাত হয়ে গেছে৷
.
--কিন্তু...
.
--কোনো কিন্তু নেই৷এখনি ঘুমাবে
.
তারপর দুজনেই শুয়ে পড়লাম৷আর তখনি নিলা বিছানা থেকে একটা বালিশ ফেলে দিল৷
.
--এই বালিশ ফেলে দিলে কেন?
.
--আমাদের বিছানায়,২টা বালিশ থাকবে না৷একটা বালিশই থাকবে,
.
--তাহলে তুমি কোথায় ঘুমাবে?
.
--কোথায় আবার?এই যে এখানে
,
বলেই আমার বুকের ওপর শুয়ে পরল৷
.
--এই আমার বুকে কেন?
.
--হুম৷প্রতিদিনই তোমার বুকে জড়িয়ে ঘুমাবো৷ভুলেও বালিশের কথা বলবে না৷বুঝেছো?
,
--হুম
.
তখন নিলা আমাকে জড়িয়ে ধরেই শুয়ে পরল৷আর তখন ভাবলাম ঘুমানোর আগে একটূ রাগালে কেমন হয়?যেই ভাবা সেই কাজ?
.
--আল্লাহ রে,,,,
.
--এই কি হইছে তোমার?
.
--যেই একটা মুটি ,আমার বুকের ওপর শুইছে,না জানি বুকের হাড় ভেঙ্গে যায়৷
.
--ওই কি বললা?আমি মুটি?যাও তোমার সাথে ঘূমাবোই না
বলেই উঠে যেতে লাগল৷কিন্তু আমি তো যেতে দিবো না
,
তাই নিলাকে অনেক শক্ত করেই জড়িয়ে ধরে আছি৷আর বললাম
এই যে ম্যাম,চলে যাওয়ার কথা ভুলেও মুখে আনবেনা৷এই পাগলের বুকে সব সময় জড়িয়ে থাকবা,
.
বলেই অনেক শক্ত করেই জড়িয়ে ধরে রাখলাম৷
আর নিলাও আমার বুকেই শুয়ে রইল৷
.
কখন ঘুমিয়ে পরলাম মনেই নেই৷
চোখ খুলতেই দেখলাম নিলা আমার কপালে ঠোটের উষ্ণতা দিচ্ছে৷আর আমার চোখ খূলতেই কেমন লজ্জা পেয়ে গেল৷তারপরই বলল
.
--এই যাও,ওযু করে আসো(নিলা)
.
--কেন?(আমি)
.
--কেন আবার?ফজরের আযান দিছে?নামাজ পরবা
,
--না,আমি একটু ঘুমাবো
.
---ওই উঠো বলছি?না হলে কিন্তু(একটু রাগ দেখিয়ে)
.
--আচ্ছা উঠতেছি৷
.
বলেই ঘুম থেকে উঠলাম,আর অযু করে দুজনে একসাথে নামাজ আদায় করলাম৷
আর আল্লাহর কাছে মোনাজাত করলাম,যেন আমরা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমরা একসাথে থাকতে পারি,একে অন্যকে কখনও যেন ছেড়ে না যাই,আরও দোয়া করলাম,আমাদের দুজনকে যেন,দুজনের পরিবার থেকে মেনে নেয়,আমি জানি আমার পরিবার থেকে খূব সহজেই মেনে নিবে৷কারন তাদের একমাত্র ছেলে আমি,আর মাও আমার পক্ষেই আছে৷মা যেভাবেই হোক বাবাকে দূদিন আগে পরে ম্যানেজ করবেই৷
.
যাই হোক দুজনে নামাজ শেষ করলাম৷
আর তারপরই দেখলাম নিলা বাইরে গেল৷বাইরে
যাবার একটু পরই আমিও বাইরে বের হলাম৷
দেখলাম নিলা,, ভাবিকে রান্নার কাজে সাহায্য করছে৷
.
দেখেই খুব আনন্দ লাগল,আসলেই মেয়েটা অদ্ভূদ,খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে পারে৷
ভাবির 'সাথে কেমন হাসিখূশি ভাবে কথা বলছে৷আমি দূর থেকেই দেখছিলাম৷
.
হঠাৎই ভাবি আমাকে দেখে ফেলল,আর একটূ মজার ছলেই বলে উঠল
.
--কি তন্ময় ভাই?ভাবিকে ছাড়া থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে না?বাসর রাত কেমন কাটল?(বলেই একটা হাসি দিল)
.
.
--হুম৷যাও আর তারপর আমাকে হেল্প করবা
,
--তোমাকে আবার কিসের হেল্প করব
.
--থাক ওইটা পরেই বলমু৷
.
যাই হোক নিলা বাহিরে চলে গেল৷
আর আমি একা একা আবুলের মত বইসা রইলাম৷
সকালবেলা খাবার টাইমে সবাই মিলে একসাথে খুব হাসিখুশি ভাবেই খাওয়া দাওয়া করলাম৷
.
খাওয়া দাওয়ার পরে আমি রনি,ভাবি,আর নিলা এক সাথে বসে সবাই গল্প করছিলাম৷ হঠাৎই রনি বলে উঠল
,
--দোস্ত কালই তোর মা আসবে(রনি)
.
-কি বলছিস রনি?তুই জানলি কিভাবে(অবাক হয়ে)
.
--আরে আন্টি ফোন দিছে৷আর বলছে সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে
.
--মানে?
.
--মানে আন্টি আংকেলকে রাজি করিয়ে ফেলছে
,
--কিইইইইইইইই,এই কথাটা আগে বললি না কেন?
,
--আরে বোকা,আমি নিজেই জানলাম একটু আগে৷বাজার থেকে আসার পথে তোর আম্মুর সাথে আমার দেখা হয়,আর তখনই তো জানতে পারলাম
.
--হুররররর রে,,,, নিলা শুনছো?আমাদেরকে বাসা থেকে মেনে নিছে৷
.
বলেই খুশিতে নিলাকে ওখানেই জড়িয়ে ধরলাম৷
একটু পর যখন খেয়াল করলাম ,দেখলাম ভাবি আর রনি কেমন মুচকি মুচকি হাসছে৷আর তখন নিলাও লজ্জা পেয়ে রুমে চলে গেল৷আর আমি মাথা চুলকাতে লাগলাম৷.
.
তখন ভাবি হাসতে হাসতে বলে উঠল
.
--তন্ময় ভাই?এত আবেগ রাখেন কই?(ভাবি)
.
--পকেটে রাখি,
বলেই সেখান থেকে দৌড়,আর আমিও রুমে চলে আসলাম৷
এসেই দেখি নিলা একদম চুপ করে বসে আছে৷আর আমি নিলাকে বললাম
.
--এই চূপ কেন?
.
--ওই গাদা,এরকম হূস না রেখে কিছু করলে হবে নাকি?ভাবি আর রনি ভাইয়ার সামনে তুমি......
.
--দুর বোকা,ওদের ভালোবাসা থেকেও আমাদের ভালোবাসা অনেক মজবুত,তাই এমন হয় গেছে
.
---পাগল
.
--পাগলি হি হি হি
.
এভাবেই ওইদিনটা কেটে গেল৷
.
পরেরদিন নিলাকে নিয়ে বাড়ির ছোট্ট বাগানের সামনে বসে গল্প করছিলাম৷ঠিক তখনই পিছন থেকে কেউ মাথায় হাত দিল,পিছনে তাকাতেই দেখলাম বাবা আর মা৷
আমি তখনই বাবা মায়ের পায়ে সালাম করলাম৷আর নিলাও তাড়াতাড়ি মাথায় ঘোমটা দিয়ে বাবা মাকে সালাম করল৷আর তখনই আম্মু বলতে লাগল
,
--এই পাগল ছেলে,এভাবে আমাদের কিভাবে ভুলতে পারলি(মা)
,
--না গো মা,তোমাদের কি ভুলা যায়?যায় না,তবে পরিস্থিতির কারনেই একটু অন্যভাবে থাকা
.
--একটাবার তো ফোনও দিতে পারতি?আচ্ছা যাই হোক,নিলা মা ,একটূ এদিকে আসো(মা)
.
--জ্বী মা(নিলা)
,
--মা,তোমার সাথে ওইদিন অনেক খারাপ ভাবেই কথা বলছিলাম৷আসলে আমি কোনোভাবেই চাইনি,আমার ছেলে কোনোভাবেই আমাদের থেকে আলাদা হোক,কিন্তু ও তোমাকে এতটাই ভালোবাসে যে,আমাদের কোনো কথাই শুনলো না,
তবে এতে আমার কোনো আফসোস নেই,তবে মা একটা কথা বলি,আমার এই ছোট্ট ছেলেটাকে কখনই কষ্ট দিও না৷তুমি তোমার নিজের মত করে ওকে গড়ে তোলো,যেন আমরা সবাই বলতে পারি,এই গাদাটাকে তুমি মানুষ করতে পারছো(আম্মু)
,
--মা,আপনি কোনো চিন্তা করবেন না,শুধু আমাকে আপনার পায়ে একটু ঠাই দিয়েন,তাহলেই আমি সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে করতে পারব(নিলা)
.
সেদিনই আমরা রনির বাসা থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম৷বাসায় আসতেই
আমি আর নিলা,, আম্মুর সাথে কাজ করা শুরু করে দিছে৷রান্নাসহ পরিবারের সব কাজেই নিলা সাহায্য করছে৷
.
আমি শুধু নিলাকে দেখে অবাকই হচ্ছি,যেই মেয়েটা নিজের বাসায় থাকতে কোনো কাজই করত না৷এমনকি তার কাপড় ধোয়ার জন্যও আলাদা মানুষ থাকত৷আর সেই মেয়েটা আমার মত গরীব ঘরে কিভাবে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছে৷
আর সব চাইতে বড় কথা হলো,আমি বিয়ের প্রথমদিন থেকেই ওর সাথে হাসিখুশি ভাবেই কথা বলতে চেষ্টা করছি আর তাকে হাসিখুশি রাখতেও৷কারন নিজের সব কিছু ছেড়ে মেয়েটা চলে আসছে৷তাকে কোনোভাবেই কষ্ট দেওয়া ঠিক না৷
সারাদিন কিভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না,, দিন পেরিয়ে যখন রাত হলো তখন আব্বু-আম্মু আর নিলা একসাথে রাতের খাবার খেলাম,খাওয়া শেষে নিলাকে বললাম এই চলো একটু ঘুড়ে আসি (আমি)
-হুম কিন্তুু অনেক রাত হয়েছে সবাই দেখলে কি বলবে (নিলা)
-সবাই যা বলার বলুক আমি কি অন্য কারো বউকে নিয়ে ঘুড়তে যাব নাকি,, যাও রেডি হয়ে আস,, ওকে (আমি)
.
-পাগল পাচ মিনিট দাড়াও আসছি বলেই চলে গেল (নিলা)
-একটু পর নিলা রেডি হয়ে যখন আমার কাছে যখন আসলো আমিতো পুরো থ হয়ে গেছি অসম্ভব সুন্দর লাগছে আমার সিনিয়র আপুকে মনে মনে বললাম
-এই কি দেখছো এভাবে (নিলা)
-না কিছু না চলো (আমি)
-হুম চলো (নিলা)
-এই দাড়াও তো (আমি)
-আবার কি হলো (নিলা)
- নিলাকে কিছু বলতে না দিয়েই নিলাকে কোলে তুলে নিলাম (আমি)
-- এই কি করছো ছাড়ো আমাকে কেউ দেখে ফেললে কি হবে বুঝতে পারছ নামিয়ে দাও আমাকে (নিলা)
-- না,, নামাবো না সারা রাস্তা কোলে করে নিয়ে ঘুড়বো (আমি)
-- পাগল, খুব ভালোবাস আমাকে তাই না (নিলা)
-- হুম খুব বেশি ভালোবাসি আর সারা জিবন ভালোবাসবো (আমি)
-- আচ্ছা এখন আমাকে কোথায় নিয়ে যাইবা (নিলা)
--চলো নদীর পাড়ে বসে বসে রাতের চাঁদ দেখবো
-- তারপর আমি আর নিলা নদীর পাড়ে গেলাম নিলা আমার বুকে মাথা রাখলো আর আমরা বসে বসে গল্প করছি নিলাকে আজকে অন্যরকম লাগছে চাদের আলো পানিতে পড়ে ঝলমল করছে,, এভাবে কিছুখন বসে থাকার পর হঠাৎ মনে হলো অনেক রাত হয়ে গেছে পরে নিলাকে বললাম চলো এখন বাসায় যাওয়া যাক আমরা বাসায় চলে আসতে আসতে ফজরের আজান দিয়ে দিল পরে নিলা আর আমি একসাথে নামাজ আদায় করে ঘুমিয়ে পড়লাম,,
১মাস পর
.
নিলা এখন পরিবারের সব কাজই করে৷জানিনা কিভাবে এত তাড়াতাড়ি ও এত কিছু শিখে গেছে৷আর সব চাইতে বড় কথা হলো,নিলা আর আম্মু সারাদিন একসাথে গল্প করে,দুজনে এমন ভাবে থাকে কেউ দেখলে বুঝতেই পারবে না ও এবাড়ির বউ৷সবাই বুঝবে ও এবাড়ির মেয়ে৷
.
মায়ের সাথে এত মিল কিভাবে বুঝিনা৷আর আম্মুও সারাক্ষন নিলা নিলা করেই বেড়ায়৷আমাকে যেন আম্মু ভালো করে চিনেই না৷যেন নিলাই ওনার মেয়ে,আর আমি কেউ না৷আমার তো মাঝে মাঝে খুব হিংসে হয়,ওদের এত মিল দেখে,,,,
আল্লাহর কাছে একটা দোয়াই করি!সব সময় যেন ,নিলা আর আম্মূ এভাবেই মিলেমিশে থাকে,
.
.
.
.
.
চলবে...........

To See orginal post click here 
...