Bangla story, Bangla golpo, love Story, thriller story, facebook story, facebook post

সিনীয়র আপু যখন বউ ১১তম_ও_শেষ_পর্ব লেখকঃ স্বপ্নীল সাহেব কাজী


সন্ধার দিকে নিলা আর আমি বসে বসে টিভি দেখছিলাম৷চ্যানেল পাল্টাতেই দেখলাম IPL হচ্ছে৷আর ক্রিকেট খেলা আমি হেব্বে লাইক করি৷তাই আমি ক্রিকেট খেলাই দেখতে লাগলাম
হঠাৎই নিলা বলে উঠল
,
--এই তুমি এটা কি দেখছো?(নিলা)
,
--কেন?ক্রিকেট খেলা
.
--তুমি এটা দেখতে পারবা না,রিমোট দাও,আমি ফুটবল খেলা দেখব
.
--এএএএ আইছে,যাও তো আমি ক্রিকেট খেলা দেখমু,
.
--কি বললা?আমার মুখের ওপর কথা?রিমোট দাও ফুটবল খেলা দেখব,ক্রিকেট খেলা ভাল না
.
--ফুটবল একটা ফালতু খেলা৷আইছে ফালতু খেলা দেখতে?তুমি আমার বউ সো ভালো কিছু দেখবা
.
বলতে না বলতেই নিলা খাট থেকে উঠে গেল৷আর আস্তে করে টিভি বন্ধ করে দিল
,
--এই এই,এইটা তুমি কী করলা
,
--কেন আবার খেলা অফ করে দিলাম
,
বলেই হাসতে লাগল৷আর এই দিকে আমার রাগ উঠতে লাগল৷আর তখনই ও বলল
,
--কি মশাই?রাগলে হবে না৷ক্রিকেট চলবে না,বুঝেছো চান্দু?
.
--ওই রাখো তোমার চান্দু৷চান্দু মান্দু না বইলা টিভি অন করো,হায়রে আমার খেলা গেল,,,,,,,,,(একটু চিক্কুর মাইরা কইলাম৷কিন্তু টিভি অন করল না)
.
--টিভি অন হবে না,আর যদি হয় তাহলে ফুটবল দেখতে হবে
,
--আচ্ছা ঠিক আছে তাই হবে,তারপরও টিভি অন করো
,
কি আর করার?অবশেষে টিভি অন করল কিন্তু দেখতে লাগলাম ফুটবল৷মাঝে মাঝে ক্রিকেটে দিলেই৷আমার ওপর এটাক শুরু করে৷
.
আপনারাই বলেন,নতুন বিয়ে কইরা যদি এটাক খাই কেমনডা লাগে?.
যাই হোক নিলাকে ডাক দিয়ে বললাম
.
--আচ্ছা একটা কথা বলি?
.
--হুম বলো
,
--আচ্ছা আল্লাহ যদি আমাগোরে কোনো সন্তান দেয়,তাহলে তারে কোন খেলা শিখাইবা?
,
--কেন ফুটবল
.
--না ক্রিকেট খেলা শিখামু
.
--কি বললা?ফুটবল শিখাব
,
-ক্রিকেট
,
এভাবেই অনেকক্ষন তর্ক হলো৷এক পর্যায়ে বললাম
.
--আচ্ছা,আমি একটা ভালো বুদ্ধি দেই
,
--হুম
.
--আমরা দুইটা দল গঠন করবো,তোমার দলে থাকবে ফুটবল খেলোয়ার,তাদেরকে তুমি ফূটবল শিখাইবা,আর আমার দলে থাকবে ক্রিকেটার
.
--মানে?
,
--মানে আমরা দুই টিম সন্তান নিবো,১১ আর ১১ ৷টুটাল ২২জন,তুমিও ঠকবে না আমিও ঠকবো না
,
--যাও ছাগল কোথাকার,কি বলো এগূলো
,
--কম হয়ে গেছে তাই না?অতিরিক্ত ৪জনের কথা বলি নাই,তাই না?যাও অতিরিক্ত ৪জন করেও নিবো
.
--ওই চূপ থাকো?আর এসব বললে কিন্তু মাইর খাইবা
.
বলেই আমার ওপর ঝাপিয়ে পরল৷
ও ভাইরে কি মাইরটাই না আমারে দিল৷খালি বুকের মধ্যে কিল ঘুষি৷
.
যাই হোক এভাবেই দুষ্টুমি আর ভালোবাসার মধ্য দিয়ে আমাদের বিয়ের প্রায় ১টা বছর কেটে গেল৷কিন্তু নিলাকে নিয়ে আমাদের পরিবারের যে সুখে সংসার গড়ে উঠেছে সেটা কখনই কমছে না৷বরং আমাদের সবার ভালোবাসা দিন দিন বেড়ে চলছে,
এইত সেদিন রাতে খাবার টাইম হয়ে গেছে৷তখনই আম্মু ডাকতে লাগল
,
--তন্ময়,ওই তন্ময়,নিলাকে নিয়ে খেতে আয়(মা)
.
--আইতাছি মা,(আমি)
.
মাকে আসতেছি বলে পিছনে তাকিয়ে দেখি নিলা নেই৷গেল কোথায়?তখনই মনে পড়ল খাবার সময় তো আম্মু কে হেল্প করে৷যাই হোক বাইরে থেকে হাত মূখ ধুয়ে আসবো তখনই দেখি গামছা নিয়ে নিলা হাজির
.
--এই নাও গামছা হাত মূখ মুছো
,
--দাও
,
বলেই গামছা নিতে যাবো,তখনই গামছাটা ফেলে দিল৷আর তখন রাগ উঠে গেল৷ও গামছা কেন ফেলল৷
.
--ওই গামছা ফেলে দিছো কেন?
.
--গামছা ফেলে দেইনি৷ওটা ওখানে ঝুড়ির ওপরে ঢিল মেরে রাখছি
.
-হুম রাখছো ভালো কথা,এখন হাত মূখ মূছবো কি দিয়ে
.
--দাড়াও ব্যবস্থা করতেছি
.
বলেই নিলা তার শাড়ির আচলটা কোমর থেকে খুলল,আর শাড়ির আচল দিয়ে আমার মুখ ও মুছে দিতে লাগল,আর হাতও মুছে দিল৷ওর এমন পাগলামি দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম৷আর তখনই ও বলল
.
--আমার পাগলটার হাত মূখ মুছার জন্য সব সময় আমি তৈরি
.
--শুধু কি হাত মূখ মূছিয়ে দিলেই হবে?ভালোবাসা দিবে না
.
বলেই নিলাকে জড়িয়ে ধরলাম৷আর ওর কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিলাম৷তখন যেন
আকাশের চাঁদ মামাও মুচকি মূচকি হাসছে
.
--দেখছো নিলা?আমাদের ভালোবাসা দেখে চাদ মামা হাসছে
.
--হুম,এভাবেই সব সময় আমাকে ভালোবাসবা তো
,
--হুম,এভাবেই আমি আমার সিনীয়র আপূটাকে......(মুখ ফসকে বের হয়ে গেল)
.
--ওই কি বললা?তোমার সাথে কথাই নাই
.
বলেই নিলা নিজেকে ছুটিয়ে নিল৷আর রুমে চলে গেল৷
ধূরর এমন একটা মূহুর্তে কেন যে রাগাতে গেলাম?
যাই হোক আমি ভিতরে গেলাম৷ভিতরে যেতেই দেখলাম নিলাকে আম্মু নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছে৷
দেখে তো হেব্বি হিংসে লাগছে৷
আম্মূ সহজে আমাকেই খাইয়ে দেয় না৷আর এই মেয়েটাকে প্রত্যেকবারই খাইয়ে দিচ্ছে৷কেমন জানি হিংসে লাগতে শুরু করল৷এই মেয়েটা এত তাড়াতাড়ি আম্মুকে নিজের করে নিল কিভাবে?
.
মনে মনে একটু রাগ করলাম৷চুপ চাপ গিয়ে খেতে বসলাম৷রাগ নিয়ে ভাত নিতে যাবো,তখনই পেত্নিটা মূখ দিয়ে ভেংচি কাটতেছে৷ও বুঝতে পারছে আমার রাগের কারনটা৷
.
আমি ভাত নিয়ে শুধু মাখিয়েই যাচ্ছি কিন্তু খাচ্ছি না৷
তখনই নিলা বলে উঠল
.
--দেখো দেখো মা,তোমার ছেলে কেমন ভাত শুধু মাখাচ্ছে,কিন্তু খাচ্ছে না(নিলা)
.
--কিরে তন্ময়,ভাত খাচ্ছিস না কেন?(মা)
,
--(চূপ করেই আছি)
.
--কি হলো কথা বল(মা)
.
--মা,তুমি আমাকে খাইয়ে দিচ্ছো,আর ওকে খাইয়ে দাও না,তাই ও রেগে আছে (নিলা)
.
--ও এই কথা,পাগল ছেলে,এজন্য কি রাগ করতে হয় নাকি?
.
--রাগ করব কেন?আমি কে যে রাগ করব?
,
--এই এইভাবে কেন বলছিস?
.
--তো কিভাবে বলব?তোমরা বউ শাশুরি মিলে যা শুরু করছো,যেন মনে হচ্ছে ও তোমাকে সব সময়ের জন্য নিয়ে নিছে,ওকে প্রতিদিন নিজ হাতে খাইয়ে দাও,আর আমাকে একদিনও দাও না
.
--আচ্ছা বাবা,আর রাগ করতে হবে না,এবার থেকে তোদের দুজনকেই খাইয়ে দিবো এবার খুশি?
.
--হুম৷অনেক খুশী
,
--পাগল ছেলে আমার
.
বলেই আম্মু আমাকে আর নিলাকে নিজ হাতেই খাইয়ে দিতে লাগল৷তখন খুবই ভালো লাগছিল৷
ঠিক সেই মূহুর্তেই নিলার বড় ভাইয়া,ওর বাবা মা আমাদের রুমে ডুকল,ডুকেই বলল
.
--অনেক কষ্টে তোদের খুজে পাইছি এবার কোথায় পালাবি?(নিলার বাবা)
.
--তখন নিলা কেমন থরথর করে কাপতে লাগল৷সেই সাথে আমারও মনের ভিতর ভয় লাগতে শুরু করল৷এখন যদি ওরা নিলাকে ধরে নিয়ে চলে যায়?
তখন কি হবে?
তখনই আম্মু বলল
,
--নিলা ওনারা কারা?আর আপনারা বসুন(আম্মু)
.
--আমি নিলার বাবা
.
--ওহ,তো বসুন,
বলেই আম্মু ওনাদেরকে বসার জায়গা দিল৷কিন্তু ওনারা কেউ বসল না৷ওর বাবা বলে উঠল
,
--এই রকম গরিব ঘরে আমরা বসি না,তোদের সাহস হলো কিভাবে,এই ঘরে আমার মেয়েটাকে এভাবে রাখতে(রেগে)
.
--বাবা,ওনারা আমাকে যথেষ্ঠ ভালো রেখেছেন৷আর এর চাইতে ভালো হয়ত তোমাদের ওই অট্টালিকার ভিতরেও আমি থাকতে পারিনি৷এখানে সত্যিই আমি অনেক সুখে আছি(নিলা)
.
--রাখ তোর সুখ,এই গরিব ঘরে কতটা যে সূখ,আমি ভালো করেই জানি,নিলা তুই চলে আয়(নিলার বাবা)
,
তখনই নিলার হাতটা খুব শক্ত করেই আকড়ে ধরে রাখলাম৷নিলা একবার আমার মূখের দিকে তাকিয়ে বলল
,
--বাবা কোথায় যাবো আমি?স্বামির সংসার ছেরে মেয়েদের কোথাও যেতে হয় না,আর আমিও যাবো না (নিলা)
,
--স্বামীর সংসার?মা রে তুই চলে আয়(নিলার মা)
.
--না মা,এখান থেকে আমি কোথাও যাবো না,তুমিই না বলেছিলে ,স্বামীর বাসাই হলো মেয়েদের আসল ঠিকানা,তো মা আমি তো আমার আসল ঠিকানাতেই আছি
.
--নিলা চূপ কর!এখান থেকে তুই কি পাবি?শুধু দারিদ্রতার কষ্ট আর কষ্ট৷ওরা কি তোকে তোর ওই দামি দামী ক্রিম ,স্নো,পাউডার,বডি লোশন সব কিছু দিতে পারবে?পারবে না,কারন ওই টাকা ওদের নেই(নিলার বাবা)
.
--বাবা,ওরা এগুলো দিতে পারবে কিনা তা জানিনা,আর আমার এগূলো চাইও না৷ওদের থেকে আমি যা যা পেয়েছি তাতেই আমি অনেক সুখি(নিলা)
,
--কি পেয়েছিস তুই(নিলার বড় ভাই)
.
--স্বামির কাছ থেকে স্বামির ভালোবাসা,শ্বাশুরীর কাছ থেকে মায়ের স্নেহ,শ্বশুরের কাছ থেকে বাবার স্নেহ ভালোবাসা,আর কি চাই আমার?আর কিছুই চাইনা৷তোমরা চলে যাও,নয়ত আমি নিজেকে শেষ করে দিবো
.
--যাবো,তবে তদের সবাইকে একেবারে চিরতরে শেষ করে দিয়ে
.
বলেই নিলার বাবা হাতে একটা বন্দুক নিল৷
আর বলল সবাইকে শেষ করে দিব এখন৷বলেই হাসতে লাগল৷তখনই মা বলে উঠল
.
--আপনি আমার বুকে দরকার পড়লে গুলি চালান৷তারপরও ওদেরকে মারবেন না(মা)
কথাটা আম্মু বলার পরই আমি কিছু বলতে যাবো৷ঠিক তখনই নিলার বাবা বন্দুকটা ফেলে দেল৷আর বলে উঠল
,
--কোন বুকে আমি গূলি চালাবো?যে বুকে আমার মেয়েটা মাথা রেখে মায়ের ভালোবাসা পায়?কাকে মারবো আমি৷ যে মানূষটা নিজের সন্তানের চাইতেও আমার মেয়েটাকে ভালোবাসে?কাকে মারব আমি? যে মানুষটা প্রতিদিনই আমার মেয়েটাকে নিজ হাতে খাইয়ে দেই৷তাকে আমি কোনোভাবেই মারতে পারব না৷আর এমন একটা পরিবারের কাছে আমার মেয়েটা থাকতে পারছে বলে সত্যিই আমি অনেক খুশি(নিলা বাবার চোখে পানি)
.
--বাবা?,,,, (নিলা)
.
--হ্যা রে মা,তোদের সব কিছুই আমরা দরজার আড়াল থেকে দেখছিলাম৷আর অনেকক্ষন ধরেই তোদের খাওয়া নিয়ে যে,ভালোবাসার গল্প সেগুলো আমরা বাইরে থেকে সব শুনছিলাম,আর দরজার আড়াল থেকে দেখছিলাম৷আর তখনই মনে এত খুশি লাগতে শুরু করল যে,,, যেটা হয়ত আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না৷
তোকে বড়লোক কোনো যায়গায় বিয়ে দিলে হয়ত টাকা পয়সা,ধন সম্পদ পাইতি কিন্তু এত ভালোবাসা কখনই পাইতি না,আর তোর মা তোদের এই পাগলামো গুলো দেখে কি বলেছে জানিস?(নিলার বাবা)
,
--কি?(নিলা)
.
--বলেছে,এই বাসা থেকে যদি তোকে আলাদা করি,তাহলে আমাদের ছেড়ে তোর মা চলে যাবে,আর তোর ভাইয়াদেরও একই কথা,এমন পরিবারের কথা আগে জানলে তারা নিজেই তোকে এখানে রেখে যেত
.
তখন খেয়াল করলাম নিলার ভাইয়াদের চোখেও পানি৷নিলার বড় ভাইয়া আমার কাছে আসল আর এসেই আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিল,আর বলতে লাগল
--ভাইরে, তুমি আমার বোনের থেকে ছোট তাই তোমাকে আমাদের পরিবার কেউ মেনে নেয়নি,তবে আজ বুঝতে পারছি ,আসলে ভালোবাসা কখনও ছোট বড় দিয়ে হয়না,তবে তোমার কাছে আমার বোনটা যতটা সুখে আছে হয়ত আর কেউ এমন করে আমার বোনটাকে সুখে রাখতে পারত না,তবে ভাই,তোমার কাছে একটা অনুরোধ আমার বোনটাকে কখনই কষ্ট দিও না,, (নিলার ভাই)
,
--দোয়া করবেন ভাইয়া,যেন আমরা সব সময় এভাবেই থাকতে পারি (আমি)
.
হঠাৎই নিলা বলে উঠল
.
--আচ্ছা বাবা,সবাই যদি আমাদের মেনেই নিছো,তাহলে প্রথমে এমন করলে কেন?
,
--আরে বোকা মেয়ে,আমরা এসেছি,তোদেরকে একটূ সারপ্রাইজ দিবোনা?আর সারপ্রাইজ না দিলে কি হয়?প্রথমে তো তোকে নিয়ে যাবোই,এই নিয়তেই এসেছি কিন্তূ এখানে তোর সুখের সংসার দেখে সেই ইচ্ছাটা মরে গেল৷আর প্রথমে একটু মজা করে ভাবলাম,এই সূখের সংসারের সাথে আমরাও অংশীদার হই৷তো আমাদের কি একটু ঠাই দেওয়া যাবে?
.
তখনই আমি আর নিলা ওদের সবার পায়ে সালাম করলাম৷সবাই খূব খূশি হলো৷আর নিলার বাবা বলে উঠল
.
--তোমাদের বিয়ে আবার হবে,মহা ধুম ধাম করে৷আমার মেয়ের বিয়ে,ধুমধাম করে অনুষ্ঠান না হলে কি হয় নাকি?
.
তারপর কিছুদিন পরই আমাদের ১ম বিয়ে বার্ষিকিতে আমাদের আবারও অনেক ধুমধাম করে আমাদের দিয়ে দেওয়া হয়৷আর আমাদের জন্য আবারও নতুন করে বাসরঘর সাজানো হয়৷
.
এবার আর বাসর ঘরে যেতে কোনো লজ্জা লাগছে না৷
ভিতরে যেতেই প্রথম বারের মতই নিলা আমার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করল৷তারপরই নিলাকে বললাম
,
--আচ্ছা নিলা,প্রথম বাসরের তুলনায়,এবারর বাসর কেমন লাগছে
.
--অনেক ভালো
.
--কেন বলো তো
.
--কেন আবার?এই বাসরে আমার তোমার ফ্যামিলি আমাদেরকে মেনে নিছে,তাই অনেক খূশি
,
--এই যে শুনো,তুমি খুশি হলেই চলবে না,আমারও খুশি হতে হবে,আর আজকের পর থেকেই কিন্তু আমরা ক্রিকেট আর ফুটবল খেলার টিম গঠনে কাজ করা শুরু করে দিব,,সো আমার ক্রিকেট টিম লাগবে
,
--ওই তুমি কি বললা?মুখে কি কিছুই আটকায় না?
--আটকিয়ে রেখে কি করব?টিম লাগবে তো লাগবেই
.
--দাড়াও দেখাচ্ছি মজা
.
--হুম আসো,দেখি কে কাকে কত মজা দেখাতে পারে,,
,
তারপরই লাইট অফ আর কিচ্ছু জানিনা৷ বাকিটা ইতিহাস বুঝতেই তো পারছেন।
ওপপস আপনারা এখনও এখানেই দাড়িয়ে আছেন?ওই মিয়ারা জান তো৷ আর চাইয়া থাইকেন না৷
.
অবশেষে সিনীয়র জুনিয়র প্রেম স্বার্থক হলো৷সিনীয়র জুনীয়র প্রেমের কাছে সব বাধাই ব্যার্থ হলো৷ আর হবে ইনশাআল্লাহ,,
.
আসুন সিনীয়র আপুদের বিয়ে করি,বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম গঠনে থুক্কু ক্রিকেট টিম পরে,আগে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি
.
জাগো সিনীয়র আপুরা জাগো,
আর সোহাগকে নিয়ে ভাগো৷
জয় বাংলা,
এবার আমারে সামলা
.
হি হি হি হি
_________________সমাপ্ত______________

To see orginal post click here